কেয়ার ভিসা এসে নানা সমস্যায় কেয়ার ওয়ার্কাররা

যুক্তরাজ্যে কেয়ার ওয়ার্কারদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ক্যাম সংগঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে সেই খবর উঠে আসে। দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত হতে এক তরুণী যুক্তরাজ্যে কেয়ার ওয়ার্কার হিসাবে ভিসা নিয়ে আসতে ১৮,০০০ পাউন্ড খরচ করেন। ভিসা নিয়ে আসার পর তিনি জানতে পারেন তার কোম্পানির লাইসেন্স রিভোক হয়ে গিয়েছে। হোম অফিস হতে তিনি ৬০ দিনের ভিতরে নতুন স্পন্সর খুঁজে নেওয়ার জন্য চিঠি পেয়েছেন। নতুবা তাকে দেশত্যাগ করতে বলা হয়।

জয়নব নামের ভারতীয় তরুণী যুক্তরাজ্যে আসার জন্য আত্মীয়দের কাছ থেকে অর্থ ধার নিয়েছিলেন। যে শর্তে তিনি ইউকেতে আসেন এখানে আসার পর দেখেন কোনো শর্তই পূরণ করে নাই স্পন্সর প্রতিষ্ঠান। তাকে কাজও দেয়া হয় নাই, এমন কি আবাসনের কোনো বন্দোবস্ত ছিল না। মড়ার উপর খড়ার ঘা হিসাবে সেই স্পন্সরকৃত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও চলে যায় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান তরুণী।

নতুন স্পন্সর খুঁজে পেতে ৩০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেও কাজ খুঁজে পান নাই কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করার ইচ্ছাও প্রকাশ করে নাই বলে প্রতিবেদনে জানা যায়।

ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে ভিনদেশী কেয়ার ওয়ার্কারদের সাথে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে নিত্যনৈমিত্তিকভাবে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে জানা যায় সরকার প্রথমে স্পনসরশিপ লাইসেন্স মঞ্জুর করতে গাফিলতি করেছিল বিধায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স হারিয়ে বন্ধ হয়েছে কিন্তু তারা কর্মীদের ভিসা বা কস(COS) প্রদানের নামে নগদ অর্থ বুঝে নিয়েছে। এদিকে ভিনদেশী কেয়ার ওয়ার্কাররা নগদ টাকা দিয়ে কস(COS) নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার পর চাকুরী, বাসস্থান কিছু না পেয়ে পথে বসেছে। এখন হোম অফিস হতে সেইসব ব্যক্তি যাদের স্পন্সরকৃত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স চলে গিয়েছে তাদের দেশত্যাগ করার নোটিশ প্রদান করে চলছে।

error: