তালেবানদের দখলে চলে যেতে পারে কাবুল

আফগানিস্তানের ১৮টি প্রদেশের রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান এক সপ্তাহে।গত শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার-ই-শরিফে গোষ্ঠীটি বহুমুখী আক্রমণ শুরু করেছে।

আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ইতোমধ্যে ১৮টির রাজধানীর দখল নিয়েছে তালেবান। বেশ কিছু এলাকায় এখনো তারা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে।  ইতোমধ্যে গোষ্ঠীটি দেশের রাজধানী কাবুল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে লগার প্রদেশের রাজধানী পুল-ই আলম দখলের নেয়।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এক মূল্যায়নে বলা হয়েছে, আফগান নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে ভেঙে পড়েছে – তাতে কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রাজধানী কাবুলের পতন হতে পারে।

কাবুলের পতনের সম্ভাবনা এখন এত দ্রুত সামনে চলে এসেছে যে সেখান থেকে মার্কিন কূটনীতিক ও নাগরিকদের নিরাপদে তুলে নিয়ে যাবার জন্য তিন হাজার সৈন্য ‘সাময়িকভাবে’ আফগানিস্তানে পাঠিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

শুধু তাই নয়, মার্কিন পত্রপত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে তাদের দূতাবাসটি বিমানবন্দরের মধ্যে বা কাছে কোথাও সরিয়ে নেয়া যায় কিনা- সে বিকল্পটিও আলোচনা করেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তালেবান যেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে হামলা না চালায় সে জন্য মার্কিন আলোচকরা এর মধ্যেই তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

মার্কিন রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা এখন বলছেন যে, ১৯৭৫ সালে যেভাবে ভিয়েতনামের সায়গন থেকে যেভাবে আমেরিকানদেরকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল- ২০২১ সালের কাবুলে এখন সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটে কিনা, সেটাই অনেকের মনে উঁকি দিচ্ছে।

আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তার বরাত আল জাজিরা জানিয়েছে, বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফে তালেবান বহুমুখী আক্রমণ শুরু করেছে। যে শহরকে এতদিন প্রভাবশালী যুদ্ধবাজ নেতারা তালেবানের হাত থেকে রক্ষা করে আসছিলেন।

প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র মুনির আহমাদ ফরহাদ বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় তালেবান আক্রমণ শুরু করেছে।

error: