সুনামগন্জ জেলার দিরাইয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী মেয়েটি যন্ত্রনায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন তার ব্রিডিং বন্ধ হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সরেজমিন দিরাই হাসপাতালে গেলে এমন চিত্র দেখা যায়। এদিন সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের জারলিয়া ও সরঙ্গল গ্রামের মধ্যবর্তী হাওরে ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ধর্ষিতা কিশোরী বাড়ির পাশের হাওরে গেলে জারলিয়া গ্রামের এরশাদ আলির ছেলে কালা মিয়া (৪২) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে তার মাকে দর্শক কালামিয়ার নাম বলে।পরে তাকে রক্তমাখা অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক ডা. নাজিয়া মানানুল ইসলাম গুরুতর আহত দেখে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কালা মিয়া বাড়ি থেকে পলাতক রয়েছেন।
এ এব্যপারে দিরাই থানা সুত্র জানায়, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে অপরাধীকে পাওয়া যায়নি। দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।