হিমালয়ের প্রান্তে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ভয়াবহ হিমবাহ ধসের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার বন্যায় মৃত আরো পাঁচজনের লাশ উদ্ধারের পর নতুন করে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে দক্ষিণ ভারতের একটি মহাসড়কে রোববার ভোরে মিনি ভ্যান ও ট্রাকের সংঘর্ষে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, রোববার সকালে তপোবনের টানেল থেকে এই পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, এখনো অন্তত আরো এক শ’ ৬০ জন ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
চামোলির জেলা প্রশাসক স্বাতী ভাদুরিয়া বলেন, তপোবন সুড়ঙ্গেই আরো ২০ থেকে ৩০ জন আটকে থাকতে পারেন। তবে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সামান্য।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলায় নন্দাদেবী শিখরের কাছে হিমবাহ ধসে প্রচণ্ড বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে ওই স্থানে দুইটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জলবিদ্যুতের বাধের শক্তি নিয়ে বিধ্বংসী গতিতে ভাটির বিস্তীর্ণ এলাকায় আঘাত হানে।
দক্ষিণ ভারতের একটি মহাসড়কে রোববার ভোরে মিনি ভ্যান ও ট্রাকের সংঘর্ষে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
ফকিরাপ্পা নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ দুর্ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে কেবলমাত্র ১২ বছরের কম বয়সী চার শিশু, যারা গুরুতর আহত হয়েছে।
তিনি জানান, পরিবারটি তীর্থযাত্রায় আজমিরে যাচ্ছিল।
অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে ২৪০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) দক্ষিণে কার্নুল জেলার মাদারপুর গ্রামের কাছে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফকিরাপ্পা বলেন, ‘ভোর বেলা গাড়ি চালানোর সময় চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং তখন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি।’
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ভারতে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে