অন্যদেশের সরকার পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির সমাপ্তি হয়েছে: তুলসী গ্যাবার্ড

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে ভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন (রিজিম চেঞ্জ) নীতির সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। সম্প্রতি বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ‘মানামা ডায়ালগ’ নিরাপত্তা সামিটের আগে এ মন্তব্য করেন তিনি। বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুলসীর এই মন্তব্য ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মধ্যপ্রাচ্য সফরকালের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি। মধ্যপ্রাচ্যে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণ যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিচিত নীতি। তবে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তা পরিবর্তিত হয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- গাজা উপত্যকায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা এবং ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ১২ দিনের যুদ্ধ সমাপ্তি।

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, দশক ধরে আমাদের বৈদেশিক নীতি- রিজিম চেইঞ্জ বা রাষ্ট্র গঠনের এক ধরনের ব্যর্থ চক্রে আটকে ছিল। এটি ছিল একমাত্রিক ও একরূপ নীতি। মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, শাসক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অন্য দেশে চাপানো এবং নানা সংঘাতে অজাচিত হস্তক্ষেপের কারণে মিত্রের চেয়ে অধিক শত্রু তৈরি হয়েছে।

হাওয়াইয়ের সাবেক কংগ্রেস সদস্য এবং ইউএস আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের সাবেক এই সদস্য বলেন, এমন নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয়, অগণিত প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে বৃহত্তর নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে। তুলসীর এই মূল্যায়ন ট্রাম্পের নিজস্ব ভাবনার সঙ্গে মিলে যায়, যা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে প্রতিফলিত হয়েছিল। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি হয়েছিল যা বাইডেন প্রশাসনের সময়ে ২০২১ সালে বিশৃঙ্খলভাবে শেষ হয়। এছাড়া, তিনি সিরিয়ার সাময়িক প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারাকে গ্রহণ করেছেন। আল-শারা আল-কায়দার সাবেক সদস্য এবং ইরাকে আমেরিকান কারাগারে ছিলেন।

error: