অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং দেশের সীমান্ত সুরক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেত্তে কুপার। আগামী অন্তত ৬ মাস এই অভিযান চলবে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি বলেন, “দেশের সীমান্তকে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে যাবতীয় কঠিন এবং স্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত। ব্রিটেনের জনগণ অবৈধ অভিবাসন থেকে মুক্তি চায়।”
বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, এই অভিযানের অংশ হিসেবে জাতীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিতে (এনসিএ) ১০০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ গোয়েন্দা ও তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই কর্মকর্তাদের প্রধান কাজ হবে—ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাগুলো ঠেকানো এবং যেসব গ্যাং এই অভিবাসীদের ব্রিটেনে আনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের নির্মূল করা।
সেই সঙ্গে যেসব কেন্দ্রে অভিবাসীদের বন্দি রাখা হয়, সেগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যেসব প্রতিষ্ঠান বৈধ নথিবিহীন অভিবাসীদের কাজ করার সুযোগ দেয়, সেগুলোর বিরুদ্ধে তদন্তও করবেন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগের প্রমাণ পাওয়া গেলে, সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন আইনগত ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সেই সঙ্গে চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে অন্তত হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মোট ১২ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশীর আগমন ঘটেছে দেশটিতে। এই অভিবানপ্রত্যাশীদের ৮৫ শতাংশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা। সূত্র : আরটি