যুক্তরাজ্যে অভিবাসন সংক্রান্ত জালিয়াতির কারণে দশ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সাজাপ্রাপ্ত এই দশ ব্যক্তির প্রতি অভিযোগ ছিল তারা পাকিস্তান হতে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা ও কারসাজির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করিয়েছেন।
খবরে জানা যায় ব্রিটেনে স্পাউস ভিসায় এমন লোকদের তারা নিয়ে এসেছে যাদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের যোগ্যতা ছিল না। তথাপি তাদেরকে জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র ও জাল নথি সরবরাহ করা হয়েছিল।
ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলের মাহমুদ হুসেনকে বেআইনী অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদানের জন্য সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। প্রেস্টন ক্রাউন কোর্ট জানায়, কীভাবে তিনি নথি জাল করেন এবং ভিসা অ্যাপ্লিকেশনে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
বিচারক অ্যান্ড্রু জেফারিজ কেসি জানান, মাহমুদ হুসেন অর্থের জন্য মিথ্যা দলিল সরবরাহ করে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। আদালতের ভাষ্যমতে হুসেন লোকদের আইনী উপায়ে সহায়তা না করে নকল নথি বানাতেন এবং ভুয়া বেতন স্লিপ সরবরাহ করতেন।
আদালত জানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এই কেলেঙ্কারী সংগঠিত হয় এবং সমস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এবং নেলসন অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
অন্যান্য আসামীরা হলেন সিদ্রা আলী, সিদ্ধরা রিয়াজ, সাকাব আসগর, অসিম শাহ, এবং জুনায়েদ আলী। এই সকল আসামীকে ১২ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।
একই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া কাসিম খানকে ১৫ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছিল এবং ১২০ ঘন্টা অবৈতনিক কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাসিম খানের স্ত্রী মারিয়া খান এবং সিদ্রা আলীর স্বামী তাইমুর আলীকে মিথ্যা ডকুমেন্টেশনে ব্রিটেনে প্রবেশের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
তাছাড়া ৩৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওলডিনকেও দেশে বেআইনী অভিবাসনে সহায়তা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং তাকে নয় মাসের সাজা এবং ৭০ ঘন্টা অবৈতনিক কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ এই সাজা একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করে যে যারা আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করার চেষ্টা করবে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
উল্লেখ্য যে, সকল আসামীদের জরিমানার মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী মামলার তারিখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবরে জানা যায়।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল