অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ১২ দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে সংগঠনটির নায়েবে আমীর মাওলানা মাহফুজুল হক ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
ঘোষণাপত্রের প্রথম দফাতে নারী সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের পাশাপাশি আলেম ও নারী প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা বলা হয়।
দফাগুলোর মধ্যে রয়েছে-সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাদ দিতে হবে। শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের গতি আনতে হবে এবং নির্বাচনের আগে বিচার করতে হবে। চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদের হাতে নিহত সাইফুলের হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও যারা গুম-খুন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। গাজায় হামলা নিয়ে সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইমারি থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশিদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে এদিন সকাল ৯টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ শুরু হয়। মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন শাপলা চত্বরের শহীদ ইউনূস মোল্লার বাবা মো. নাজিম উদ্দিন।
সমাবেশে সারা দেশ থেকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
মহাসমাবেশ থেকে নতুন দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম। নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন এবং আগামী ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল।