মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হয়েছে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক। এর ফলে ৬০টি দেশ বাণিজ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। পাশাপাশি এশিয়ার শেয়ারবাজারে বিশাল ধাক্কা লেগেছে। এই অঞ্চলের শেয়ারবাজেরর দর পড়ে গেছে।
এদিকে চীনের ওপর নতুন করে ১০৪ শতাংশ শুল্ক দিয়েছেন ট্রাম্প। এই ঘোষণাও আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে এশিয়াসহ গোটা বিশ্বের শেয়ারবাজারগুলোর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।
অনলাইন বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের বিশ্বব্যাপী শুল্ক কার্যকরের পর এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দিনের শুরুতে এই অঞ্চলের প্রধান সূচকগুলো নিম্নমুখী ছিল। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে গেছে। বিনিয়োগকারী এবং বাণিজ্য খাতে নতুন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। শুধুমাত্র সাংহাই এক্সচেঞ্জের অবস্থা কিছুটা ভালো। এশিয়ার অন্যান্য শেয়ারবাজেরর চিত্র সম্পূর্ণই বদলে গেছে।
এখন জেনে নেয়া যাক এশিয়ার মার্কেটগুলোতে কতটা অবনমন হয়েছে। বিবিসি বলছে, নিক্কেই ২২৫ (জাপান) এর সূচকে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কসপির (দক্ষিণ কোরিয়া) কমেছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ। চীনের সাংহাই কম্পোজিট এর শূন্য দশমিক ২ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। হংকংয়ের হ্যাং সেং এর অবনমন হয়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে তাইওয়ানের শেয়ার মার্কেট। দেশটির শেয়ার মার্কেটের সূচক ৬ দশমিক ২ শতাংশ নিম্নগামী ছিল। অস্ট্রেলিয়ার মতো মার্কিন মিত্র দেশের শেয়ারবাজারেও পতন হয়েছে। সেখানে শেয়ারের দরপতন হয়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
ভারতের নিফটি ৫০ ইন্ডেক্স এর পতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। আর সেনসেক্সের পতনের পরিমাণ ছিল শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। শেয়ার মার্কেটের এই অনিশ্চয়তা বিবেচনা করে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। চলতি বছরে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সুদের হার কমালো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপ শেয়ার মার্কেটগুলোকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সূত্র:মানবজমিন।