অনিয়মিত পথে অভিবাসন ঠেকাতে একসাথে কাজ করার পরিকল্পনা করছে ইটালি ও ব্রিটেন৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিবৃতিতে এ কথা জানায়৷
শুক্রবার ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাক্ষাতে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে একসাথে কাজ করার বিষয়টি আলোচনায় আসে৷ এই লক্ষ্যে দেশ দুটো ‘ইনোভেটিভ পার্টনারশিপ’ তৈরির কথাও জানায়৷ তবে এই পার্টনারশিপের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি৷
তাছাড়া মানবপাচার রোধে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী৷
অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে গত কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে ইউরোপের এই দুই দেশ৷
এরই মধ্যে বলকান রাষ্ট্র আলবেনিয়ার সাথে অভিবাসন বিষয়ে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে ইটালি৷ চুক্তি অনুযায়ী, অনিয়মিত পথে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইটালিতে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে৷ প্রাথমিকভাবে তাদের আশ্রয়প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে দুটি কেন্দ্র খোলার বিষয়ে চুক্তি করে আলবেনিয়া-ইটালি৷ চুক্তি অনুযায়ী আশ্রয়ের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময়ে এই আশ্রয়প্রার্থীরা আলবেনিয়াতে অবস্থান করবেন৷
আলবানিয়ার শেংজিন বন্দরের নিকটে কেন্দ্র দুটি স্থাপন করা হবে যেখানে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন নিবন্ধিত হবে৷ ইটালি সরকারের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্র দুটি পরিচালিত হবে৷ তাছাড়া আবদন যাচাই-বাছাইয়ের সময়ে তাদেরকে জায়গা দিতে বসতি স্থাপন করা হবে৷
পাঁচ বছর মেয়াদি এই চুক্তির বাস্তবায়নে ৬৫ কোটি ইউরো খরচ হবে৷
অবশ্য আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার সাথে একই রকম একটি চুক্তি করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাক, যদিও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডা পাঠাতে দেশটির সাথে সম্পন্ন চুক্তির অনুমোদন বিলম্ব করার পক্ষে মত দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা হাউস অব লর্ডসের সদস্যরা।