ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাদের মোট দায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ শুক্রবার সকালে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইভ্যালির দেনা দাঁড়িয়েছে ৪০৩ কোটি টাকা। প্রথমে তাদের সম্পদ ছিল ৬৫ কোটি টাকা।’
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নানা পণ্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ২১৪ কোটি টাকা এবং গ্রাহক ও অন্যান্য কোম্পানির কাছে বকেয়া আছে ১৯০ কোটি টাকা।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ইভ্যালিতে পূর্বে প্রায় ২ হাজার ব্যবস্থাপনা স্টাফ ও ১ হাজার ৭০০ অস্থায়ী কর্মী ছিল। বর্তমানে ব্যবস্থাপনা স্টাফ পদে ১ হাজার ৩০০ জন ও অস্থায়ী পদে প্রায় ৫০০ জন কর্মী আছেন। পূর্বে কর্মীদের মাসিক বেতন বাবদ প্রায় ৫ কোটি টাকা দেওয়া হতো। বর্তমানে তা দেড় কোটিতে দাঁড়িয়েছে। গত জুন থেকে অনেকের বেতন বকেয়া আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রাসেল ও শামীমা নাসরিন পদাধিকারবলে নিজেরা মাসিক ৫ লাখ টাকা টাকা করে বেতন নিতেন। তারা কোম্পানির অর্থে ব্যক্তিগত ১টি দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। এ ছাড়া, কোম্পানির প্রায় ২৫-৩০টি যানবাহন আছে।’
মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিন গুলশান থানায় নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে কোর্টে নেওয়া হবে বলে র্যাব সূত্রে জানা গেছে।