স্বাদে মিষ্টি। কাশ্মিরি আপেল কুল। রঙটা ঠিক যেন আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে খুব মিষ্টি। গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে আপেল কুল। পার্বতীপুর শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে উপজেলার মম্মতপুরের তাজনগর মণ্ডলপাড়ার কৃষক সাগর আলী মণ্ডলের বাগানে ঝুলছে এই কুল। রওশনারা আজম এগ্রো ফার্মের মালিক সাগর আলী মণ্ডলের হাত ধরেই আধুনিক কৃষি বিস্তার লাভ করেছে এই এলাকায়। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। গ্রামের সাগর আলী মণ্ডল উপজেলায় প্রথমবারের মতো কাশ্মিরি আপেল কুলের চাষ করছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা এসে তার বাগান থেকে কুল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলন ভালো হওয়ায় দামও পাচ্ছেন ভালো।
সরেজমিন দেখা যায়, অন্তত ৪ ফুট উচ্চতার একেকটি কুল গাছ। কুলের ভারে মাঠিতে নুয়ে পড়েছে কিছু কিছু ডাল। গাছ থেকে আপেল রঙের পাকা কুল নিয়ে দেখালেন বাগানের মালিক সাগর আলী মণ্ডল। পাশাপাশি ফার্মে তিনি কুল বাগানের সাথে বিভিন্ন ফুল, ফল, সবজির চারাও বাজারজাত করছেন।
জানতে চাইলে কৃষক সাগর আলী মণ্ডল বলেন, গত বছর নাটোর প্রকৃতি নার্সারি থেকে ৩০০টি বরই গাছের চারা কিনেন। এরপর জমিতে এক ফুট লম্বা ৩০০টি বরই গাছের চারা রোপণ করেন। তখনই গাছগুলোতে কেঁচো সার ব্যবহার করেন। বাঁশের খুঁটি দেয়া হয়েছে গাছের বড় বড় ডাল ঠিক রাখতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে গাছে ফুল আসে। ফল পরিপক্ব হবে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে।
চণ্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর শালন্দার খেরুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক আহসান হাবীব আড়াই বিঘা জমিতে বল সুন্দরী আপেল কুল চাষ করেছেন। তিনি পুলিশে কর্মরত। শীতের কারণে তার কুল খুব ভালো হয়েছে। আশা করছেন তার বল সুন্দরী আপেল কুল ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামান বলেন, কৃষক সাগর আলী মণ্ডল ও আহসান হাবীব কুল চাষে সফলতা পেয়েছেন। এখানকার উৎপাদিত কুল দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আপেল কুল ও কাশ্মিরি আপেল কুলের উৎপাদন শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে।