টেমসসুরমাডেক্স: নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলে চেয়ারম্যান হবেন, বিষয়টা এমন না’- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এমন বক্তব্য দিয়ে ভা’র্চুয়াল জগতে ভাই’রাল হওয়া পু’লিশ কর্মক’র্তাকে সিলেট বদলি করা হয়েছে।
কুমিল্লা জে’লার দাউদকান্দি-চান্দিনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পু’লিশ সুপার মো. জুয়েল রানাকে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পু’লিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে সপ্তম এপিবিএন সিলেটের সহকারী পু’লিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়।
ধাপে ধাপে সারাদেশে চলছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচন উপলক্ষে সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভোটারদের সচেতনতামূলক একটি পু’লিশিং সভায় সহকারী পু’লিশ সুপার মো. জুয়েল রানা বলেন- ‘নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বলে যে চেয়ারম্যান হয়ে যাবেন- বিষয়টা এমন না। আমি যেখানে নির্বাচন করেছি নৌকা ২৫১ ভোট পাইছে। চেয়ারম্যান হইছে ৩ হাজার ভোটে, সেকেন্ড হইছে ২৮ শ ভোটে, থার্ড হইছে ২৭ শ ৫০ ভোটে, নৌকা পাইছে ২৫১ ভোট।’
ওই সভায় তিনি আরও বলেন, ‘আরেক ইউনিয়নে আমি নির্বাচন করছি, নৌকা পাইছে ৭৯০ ভোট। চেয়ারম্যান হইছে ৪ হাজার ভোটে। সে রানিং চেয়ারম্যান ছিলো নৌকার। আবার নৌকা পাইছে, ভোট পাইছে ৭৯০। জামানত বাজেয়াপ্ত।’
বক্তব্য প্রদানের পর সেটির ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাই’রাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ভা’র্চুয়াল জগতে। পক্ষে-বিপক্ষে শুরু হয় মন্তব্য। এরই মাঝে জুয়েল রানাকে বদলি করা হলো সিলেটে।
এদিকে জুয়েল রানার বদলিতে দাউদকান্দি ও চান্দিনাতে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে- এমনটা জানা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে।
দাউদকান্দি উপজে’লার বাসিন্দারা বলছেন- জুয়েল রানা একজন জনবান্ধব পুলিশ অফিসার ছিলেন। যে কোনো প্রয়োজনে তাঁর কাছে গেলে সহযোগিতা না পেয়ে ফিরতে হতো না।
কুমিল্লা দাউদকান্দি সার্কেল অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর খুবই অল্প সময়ে পুরো এলাকায় একজন জনপ্রিয় ও জনবান্ধব পুলিশ কর্মক’র্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ও প্রশংসিত হতে থাকেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পু’লিশে এই প্রথম অ’ভিন্ন মানদ’ন্ডে পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছে। সেই মানদ’ন্ডে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জে’লার ৫০ জন সার্কেল অফিসারের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হন কুমিল্লার দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পু’লিশ সুপার মো. জুয়েল রানা।