হবিগঞ্জের বাল্লা সীমান্ত এলাকায় কাটাতারের বেড়া সংলগ্ন ভারতের গৌড়নগর এলাকা থেকে জহুর আলী (৫২) নামে এক বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ। মঙ্গলবার সকালে তার লাশ নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বজনরা। পরে তার লাশ ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ই জানুয়ারি আলোচিত ফেলানী হত্যাকাণ্ডের দিন আবারও এক বাংলাদেশিকে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
বিএসএফ লাশ পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে বিজিবিকে। তারা জানিয়েছে, কিভাবে সে মারা গেছে তা তদন্ত করছে ভারতীয় পুলিশ। তদন্ত শেষ হলে লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো লাশের ছবি দেখে লাশটি বাল্লা সীমান্ত এলাকার ডুলনা গ্রামের মনছুব আলীর ছেলে জহুর আলীর বলে নিশ্চিত করে পরিবারের লোকজন। বিজিবি জানায়, বিভিন্ন মহল থেকে খবর আসে এ ধরনের একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে বার্তা পাঠানো হলে তারা লাশ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিজিবির বাল্লা গুইবিল সীমান্তের ক্যাম্প কমান্ডার নাজমুল ইসলাম জানান, আমরা লাশ পাওয়ার ব্যাপারে বিএসএফকে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছি। তবে কবে লাশ হস্তান্তর করবে তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক চৌধুরী জানান, জহুর আলী ঢাকায় নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার তিনি ঢাকা থেকে কিছু লুঙ্গি নিয়ে বাড়িতে আসেন। রোববার সীমান্ত এলাকার নালুয়া চা বাগানে লুঙ্গি বিক্রি করতে যান তিনি। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাশের ছবি দেখে তার পরিবার নিশ্চিত হয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ান এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জহুর আলী মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি এসিএল কোম্পানি বসুন্ধরাতে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। শনিবার তিনি বাড়িতে আসেন। সোমবার কোন এক সময়ে বাল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। একই দিন ভারতের গৌড়নগর এলাকার একটি রাস্তার পাশে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে সেখানকার খোয়াই থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়। ভারতীয় পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত করছে। তাদের তদন্ত শেষ হলে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সূত্র: মানবজমিন।