জাইমাকে নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার

জুবায়ের আহমেদ :: একটি অখ্যাত ফেইসবুক পেইজ লাইভে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কিছু কুরুচিপুর্ন বক্তব্য ঘোরছে সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে গত তিন/চার দিন ধরে। সেখানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চোয়ারপার্সন তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমান কে নিয়ে কিছু কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন যে তা কখনও একজন ভদ্র মানুষের মুখে শোভা পায় না। তার সে ভাষা চরম শিষ্টাচার বহির্ভূত, নারী বিদ্বেষমূলক, অবমাননাকর। তিনি এতে পুরো নারী জাতি কে অপমান করেছেন।একজন সুস্হ মানুষের পক্ষে এসব লাইভে এসে বলা তো দূরের কথা মুখে আনাও অসম্ভব।

আবার পরবর্তীতে তার এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া কেও প্রত্যাখান করেছেন তিনি দাম্ভিকতার সাথে। তার সেসকল কুরুচিপূর্ণ কথা আমার রুচিতে বাঁধায় দর্শকদের জন্য তা তোলে ধরতে না পারায় ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে যারা একটু ফেইসবুক,ইউটিউব সহ সোস্যাল মিডিয়াতে টু-মারেন তারা ইতিমধ্যে প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্য দেখে থাকবেন নিশ্চিত।

ইতিমধ্যে তার এমন কথাবার্তার নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়া জুড়ে।যদিও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর এ রুপ লাগামহীন কথাবার্তা নতুন নয়। গত কয়েক দিন আগে বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দিলে তা নিয়েও সব মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।বিদেশে বসে ফেইসবুক, সোস্যাল মিডিয়াতে সরকারের সমলোচনাকারীদের জিহ্বা টেনে ছিড়ে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন তিনি ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে ।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি কে নিয়ে তার লাগামহীন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা সর্ব মহলে আলোচিত হয়। মিডিয়ার সামনে এসে সারাক্ষন বিরুধী মতের মানুষদের কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলা তার একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। তার কথাবার্তা, শরীরী ভাষায় সমসময়ই দাম্ভিকতার চাপ লক্ষ্য করা যায়।মনে হয় তিনি যেন সব-জান্তা শমসের।

কিন্ত কেউ যখন রাষ্ট্রের গুরত্বপূর্ন একটি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়ে এ রকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন ,অন্যের চরিত্রহরন করে বেড়ান তখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শংকিত হই। দেশের জনগনের ট্যাক্সের টাকায় চলা এসব মন্ত্রীদের কাছ থেকে জাতি কি সার্ভিস পাচ্ছে শুধুমাত্র হিংসা-প্রতিহিংসা ছাড়া। যাদের নিজেদেরকেই সংশোধন করার ক্ষমতা নেই সেসব অযোগ্যরা দেশের ভাগ্য বদলাবে কিভাবে তা ভেবে আফসোস করা ছাড়া কিইবা করার আছে।

তারা যখন মন্ত্রীত্বের শপথ নেন তখন কোন দলীয় গন্ডির মধ্যে না থেকে সব দলের ,সব মানুষের নেতা হন। তাদের কাজে-কর্মে কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠি যাতে আঘাত না পায় সে রকমই হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত আফসোস, মুরাদের মত বিকৃত মস্তিষ্কের রাজনীতিবিদদের কারণে আজও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়না বাংলাদেশে।

সুতরাং,বাংলাদেশ কে বাঁচাতে হলে এসকল কুখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলার এখনই সময়।

জুবায়ের আহমেদ

সাংবাদিক,কলামিষ্ট ও মানবাধিকার কর্মী

error: