টেমসসুরমানিউজডেক্স:একসময়ে সকাল-বিকেল নগরবাসীর পদচারণায় মুখর থাকতো জালালাবাদ পার্ক।
এখানে রয়েছে ফোয়ারা, ফুলের গাছ, ছায়া বৃক্ষ ও শান বাধানো বসার স্থান। কিন্তু এখানে নেই কোনো ভদ্র লোকের পদচারণা। ছিঁচকে ছিনতাইকারী ও গাঁজাসেবীরা প্রতিদিন আড্ডা জমায় সেখানে। দিন ও রাতের সব সময়ই হয় মাদকসেবন, রাতে হয় অসামাজিক কাজ। তবে এসব বিষয় দেখার যেন কেউ নেই।
নগরীর প্রবেশদ্বার সুরমার ওপরে ক্বীন ব্রিজ পেরিয়েই জালালাবাদ পার্কের অবস্থান। ডানে সাকিট হাউস, বামে জেলা পরিষদ, পেছনে জেলা প্রশাসকের এবং সামনে পুলিশ সুপারের বাস ভবন। পার্কটি ২০০৫ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন জালালাবাদ পার্কের স্থলে ১৬তলা বিশিষ্ট বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
দীর্ঘ কয়েক দিন থেকে বন্ধ পার্কের প্রধান ফটক। প্রবেশপথসহ সামনের ফুটপাত হকারদের দখলে। দেওয়াল টপকে ছিঁচকে ছিনতাইকারী আর হেরোইন ও গাঁজা সেবিরা আড্ডা জমায়। রয়েছে অবাঞ্ছিত নারীদের পদচারণা। আবার কখনো ফুটপাতের হকার ও ঠেলা শ্রমিকদের স্বস্তির স্থান।
সিটি করপোরেশনের তথ্যাবধানে থাকলেও পার্কের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। যেকারণে পার্কটিতে হাঁটাচলা কিংবা অবসর বিনোদনের জন্য ব্যবহার করেন না নগরবাসী। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি দীর্ঘদিন থেকেই কর্তৃপক্ষের অবহেলার শিকার।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘‘এই পার্কটির স্থলে সিটি কর্তৃপক্ষ বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের চেষ্টা করেছিলেন। আমরাও ওই সময় প্রতিবাদী হয়ে রাজপথে নামি। দাবি জানাই মানুষের একমুঠো নির্মল নিঃশ্বাসের স্থান হিসাবে জালালাবাদ পার্ককে সংস্কারের। দুঃখজনক হলেও সত্য এখন এখানে কোন ভদ্রলোক হাঁটাচলার জন্য যান না
তিনি বলেন, দিনে পার্কটি খোলা থাকে কিনা? এ ব্যাপারেও নগরবাসী অবহিত নয়। সিটি করপোরেশনের উচিত পার্কটির নিরাপত্তা জোরদার ও সময় নির্ধারণ করে একটি সাইনবোর্ড টানানোর।