জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সর্বসম্মতিক্রমে তৈরীর ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রনেতারা সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছে। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো নয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ না করার কথা বলা হয়েছে। আলোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করার কথা উঠে এসেছে। এ প্রস্তাবগুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় বৈঠক শেষে এসব কথা জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর আগে বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৈঠকটি শুরু হয়ে শেষ হয় ৬টার দিকে।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত ইসলাম, বামমঞ্চ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক শক্তি অংশগ্রহণ করেছে। বৈঠক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়ের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। সবাই বলেছেন এই ধরনের একটা ঘোষণা পত্র করার দরকার আছে। তবে এখানে অনেক সাজেশন আসছে- মোটাদাগে হলো- ঘোষণাপত্রে সবার অবদান বলতে হবে, ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে।
তিনি বলেন, ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক নেইচার বা লিগ্যাল নেইচার কি হবে সেটা স্পষ্ট করত্ব হবে। বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই ঘোষণা পত্র আরো বেশি আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে রাজনৈতিক শক্তি ছাত্র জনতার সবাইর মধ্য আলোচনা করে সর্ব সম্মতিভাবে এটাকে প্রণয়ন করতে হবে। এটার জন্য যত সময় প্রয়োজন সময় নেওয়া যেতে পারে তবে এটাও বলছে যাতে অযথা কালবিলম্ব না হয় সেই মতামত দিয়েছে। সবাই ঐক্যমত হয়েছে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই ধরনের ঘোষণা পত্র হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হতে সক্ষম হবো।
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকলে একত্রিতভাবে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি তেমনি সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘোষণা পত্র তৈরি করতে পারবো।
সময়সীমা নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছে- ঐক্যমত পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরী করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়। অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়। এই লক্ষ্য অনেকে প্রস্তাব করবছে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।আমরা এই প্রস্তাব গুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।
ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে গুরুত্ব সৃষ্টি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নে আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কোনোরকম দূরত্ব সৃষ্টি হয় নাই। শুধুমাত্র কি পদ্ধতি করা হবে বিভিন্ন রকম মতামত আসছে। সকল মতামতকে আমরা স্বাগত জানায়। কোথাও আমরা অনৈক্যর সুর দেখিনা-বরং সবাই বলছে এই ঘোষণা যেন সবার মালিকানা থাকে সেই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত আসছে। আমরা এমন মতামত ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে।
ঘোষণাপত্র আরও আলোচনা হবে কিনা- আলোচনা হতে পারে কমিটি হতে পারে ওনাদের (রাজনৈতিকদল) মতামত নিয়ে খুব দ্রুত একটা কর্মকৌশল ঠিক করবো।
সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সংগঠনের যারা অংশ নিয়েছে সবাই বলেছে- ঐক্যমত পোষণ করে সর্বোসম্মতিক্রমে একটি ঘোষণাপত্র তৈরী করার জন্য। যত সময় লাগুক তা যেন নেওয়া হয়। তাড়াহুড়ো যেন না করা হয়। অযথা কালক্ষেপণ না করা হয়। এই লক্ষ্য অনেকে প্রস্তাব করবছে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়।আমরা এই প্রস্তাব গুলো দ্রুত বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।