জুলাই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন সেনা-পুলিশের সাবেক ৮ কর্মকর্তা

সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরো দুমাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিষয়ে আগামী ২৮ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রসিকিউশনের আবেদনে চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিদের উপস্থিতিতে আজ  বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সেনাবাহিনীর জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি)’র সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত সুপার মো. শহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন। আদেশর সময় আসামিদের ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলা হয়।

আদালতে প্রসিকিউশনের সময় আবেদনে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা:

শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতি তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, জব্দকৃত গুলির ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে। হাসপাতাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে তাদের বক্তব্য রাখছেন। তারা নানা আলামত জমা দিচ্ছেন।




error: