শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ শপথগ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানে প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। পরে ১৬ উপদেষ্টার মধ্যে ১৩ জন শপথগ্রহণ করেন। তিন উপদেষ্টা ঢাকার বাইরে থাকায় তারা পরে শপথ নেবেন বলে জানানো হয়।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকার’র সাধারণ সম্পাদক আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শিক্ষাবিদ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ড. আ. ফ. ম খালিদ হাসান, উবিনীগ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদা আখতার, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আজম, বীরপ্রতীক পরে শপথ নেবেন।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। বীর শহীদ ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খান উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহধর্মিণী অধ্যাপক আফরোজী ইউনূসও তার পাশে ছিলেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান, জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ, সিপিবি’র মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, মোস্তাক হোসেন, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ড. রেজা কিবরিয়া, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণঅধিকারের অপর অংশের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামান, এনপিপি’র চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপি’র একাংশের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা’র খন্দকার লুৎফর রহমান, বাসদের খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেননি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।