টেমসসুরমাডেক্স: আওয়ামী লীগ নির্বাচন নিয়ে নাটক ও তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। এই নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একাই ঠিক করেন বলেও মন্তব্য করেন তারা।
শুক্রবার বিকালে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন মঞ্চের নেতৃবৃন্দরা। পরে একটি মিছিল বের করা হয়। তাদের মিছিল প্রেসক্লাব থেকে পল্টন হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) দেশে যা খুশি তাই করছে। নির্বাচন নিয়ে নাটক ও তামাশা করছে। এখন নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা শেখ হাসিনা একাই ঠিক করেছেন। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী এরপর নাটকটা হবে।
তারা বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের রাজনীতি শেষ, স্বতন্ত্র রাজনীতি বলে কিছু নাই। তারা নৌকা ছাড়া নির্বাচনও করতে পারছেন না। বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায়। দেশের মানুষ লড়াই করে বিজয় নিয়ে এসেছে।
কাজেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র টিকবে না। জনগণ আন্দোলন করে এমন ব্যবস্থা কায়েম করবে যাতে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। সুতরাং আজকের এই দুঃশাসন থাকবে না। জনগণ জনসমুদ্রের মতো গণঅভ্যুত্থান করে এদের পতন ঘটাবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবে না। কেনো না সংবিধানের ১২৩-নং আর্টিকেলের খ’তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে এরপরের ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না।
এই নির্বাচন স্থগিত ও তফসিল বাতিল করে এবং সমস্ত আন্দোলনকারী শক্তির সঙ্গে বসে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তারা আরো বলেন, একদিকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ যেমনি লড়বে, আর সেই রক্ষার ভিত্তি হবে ৩১ দফা। এই ৩১ দফায় রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। বাংলাদেশেকে জাতীয় ভয়ঙ্কর সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার করতে হলে নতুন এই বন্দোবস্তের বিকল্প নাই।
এসময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।