পাঁচ বছরে ৬টি লক্ষ্য অর্জনের ঘোষণা স্টারমারের

টেমসসুরমাডেক্স: এক যুগের বেশি সময়ের পর বৃটেনের ক্ষমতায় এসেছে দেশটির অন্যতম দল লেবার পার্টি। কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয় লাভ করে। সরকার গঠনের পর থেকেই নানান আলোচনার সম্মুখীন হয়েছে লেবার সরকার। তারপরও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বিচলিত না হয়ে তার নেতৃত্বে বৃটেনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। একের পর এক নতুন প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন স্টারমার। আগামী পাঁচ বছরে লক্ষ্য অর্জন করতে চেয়ে নতুন কিছু প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে লেবার সরকার।

সম্প্রতি আশা প্রকাশ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যা কিয়ার স্টারমার ছয়টি প্রধান প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে ব্রিটেনের রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করবে এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। ছয়টি প্রধান লক্ষ্যর মধ্যে রয়েছে, জি-৭ গ্রুপের ধনী দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং যুব্রিটেনের প্রতিটি অঞ্চলে জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। ইংল্যান্ডে ১৫ লাখ নতুন বাড়ি নির্মাণ এবং অন্তত ১৫০টি বড় অবকাঠামো প্রকল্প দ্রুত অনুমোদনের পরিকল্পনা। হাসপাতালের ব্যাকলগ দূর করা এবং এনএইচএসের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে ৯২% রোগীকে ১৮ সপ্তাহের মধ্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের ১৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ কমিউনিটি সাপোর্ট অফিসার এবং স্পেশাল কনস্টেবল নিয়োগ। ইংল্যান্ডে ৫ বছর বয়সে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত শিশুদের হার ৭৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৯৫% বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ক্লিন পাওয়ারের উপর ভিত্তি করে স্থাপন।এই লক্ষ্যগুলো লেবার পার্টির আগের পাঁচটি “মিশন” থেকে আরও বিস্তৃত ও বাস্তবমুখী। ক্ষমতাসীন দল দেখাতে চায়, তাদের অধীনে সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে।

বাড়ি নির্মাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান প্লানিং রুলকে বড় বড় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেয়া হবেনা।

কিয়ার স্টারমার বলেন, ইমিগ্রেশন সংখ্যার উপর “ইচ্ছামতো” সীমা আরোপ কাজ করে না। তবে তিনি অবৈধ ইমিগ্রেশন ও চোরাচালানকারী চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

কনজারভেটিভ নেতা কেইমি বেইডেনক লেবার সরকারের নতুন ছয়টি লক্ষ্য ঘোষণাকে “জরুরি পুনর্গঠন” বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, “১৪ বছর বিরোধী দলে থাকার পরও লেবার দল সরকার পরিচালনার জন্য প্রস্তুত নয়। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরাও এই পরিকল্পনাকে যথেষ্ট কার্যকর হবেনা বলে মনে করে।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যগুলো অর্জন করা লেবার সরকারের জন্য কতটা সম্ভব, তা সময়ই বলে দেবে।

error: