এক সময় পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে খেতে গেলে পিজা হাট ছিল ব্রিটিশদের অন্যতম পছন্দের নাম। সীমাহীন বুফে, আনলিমিটেড সালাদ বার এবং টপিংসে ভরা আইসক্রিম মেশিন — এগুলোই পিজা হাটকে আলাদা করেছিল অন্যদের থেকে। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন আগের মতো আর কেউ ‘হিট দ্য হাট’ করতে যাচ্ছে না। বিক্রি হ্রাস পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যে তাদের প্রায় অর্ধেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
পিজা হাটকে চলতি বছরেই দ্বিতীয়বার দেউলিয়া অবস্থা থেকে কিনে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে তাদের ১৩২টি রেস্টুরেন্টের মধ্যে মাত্র ৬৪টি চালু রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
লন্ডনের প্রুডেন্স নামের এক ক্রেতা বিবিসিকে বলেন, “ছোটবেলায় আমরা পরিবার নিয়ে রবিবারে পিজা হাটে যেতাম — সেটা ছিল এক বিশেষ দিনের মতো। এখন আর সেটা তেমন কিছু নয়।”
২৩ বছর বয়সী মার্টিনা ডেবন্যাচ বলেন, “বুফে আর সালাদ বারের মান অনেক কমে গেছে। খাবারের পরিমাণ বেশি হলেও গুণগত মানে ঘাটতি রয়েছে।”
খরচের বোঝা ও পরিবর্তিত বাজার
খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ‘অল ইউ ক্যান ইট’ মডেলটি এখন পিজা হাটের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ন্যূনতম মজুরি প্রায় ৭% বেড়ে যাওয়া এবং জাতীয় বীমা অবদান বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রম খরচও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
একসময় ডেট নাইটের জন্য পিজা হাটে যেতেন ক্রিস (৩৬) ও জোয়ান (২৯)। এখন তারা বলেন, “আমরা ডমিনোস অর্ডার দিই, কারণ পিজা হাট এখন অযৌক্তিকভাবে দামী।”
খাদ্যবিশেষজ্ঞ জিউলিয়া ক্রাউচের মতে, পিজা হাট ও ডমিনোসের দামে তেমন পার্থক্য না থাকলেও ডমিনোস আগ্রাসী প্রচারণা এবং অবিরাম অফারের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে করে তুলেছে যে তারা বড় ছাড় পাচ্ছেন — যদিও আসল দাম অনেক বেশি।