টেমসসুরমানিউজডেক্স: প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক যুবক। গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসার পর গাজীপুরের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। রাইয়ান কফম্যান নামের ওই যুবক যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের কানসাস সিটির বাসিন্দা। রাইয়ানের স্ত্রী হলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার সিকন্দার আলীর মেয়ে সাইদা ইসলাম।
কনের নানা মোশারফ হোসেন বলেন, সাইদার বাবা সিকন্দার আলী ২০১৯ সালে মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মা ও ছোট বোনকে নিয়ে সাইদা গাজীপুরের ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় নানার বাসায় আসেন। সেখানেই তাঁরা বসবাস করছেন। ২০২০ সালে স্নাতক পাস করেন সাইদা।
সাইদা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে অনলাইনে রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর তাঁরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করেন। এর পর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো তাঁদের। ভয়েস ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে তাঁদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। বছরখানেক তাঁরা এভাবেই প্রেম করেন। শেষে দুজনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। রাইয়ান বিয়ের জন্য তাঁর দেশেই ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তাঁর ও সাইদার পরিবারের সম্মতিতে ২৯ মে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসেন। এদিনই দুজনের প্রথম দেখা হয়।
সাইদা বলেন, বিমানবন্দর থেকে সাইদার সঙ্গে সোজা গাজীপুরে নানার বাড়িতেই ওঠেন রাইয়ান। সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তাঁরা। বাংলাদেশে আসার আগেই বিয়ের গয়না, কাপড়-চোপড় ও মুঠোফোন কেনার জন্য রাইয়ান সাইদার কাছে টাকা পাঠান। সাইদা সে টাকায় বিয়ের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সম্পন্ন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা ছয় ফুট উচ্চতার রাইয়ানকে দেখতে স্থানীয় উৎসুক লোকজন গাজীপুরের ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভিড় জমান।
রাইয়ান কফম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশে আসার পর দেখছি আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। আমার ক্ষুধা না লাগতেই লোকজন আমাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আদর, আপ্যায়ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।’
সাইদাকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান রাইয়ান। তিনি বলেন, আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে তাঁর দেশে নিয়ে যাবেন তিনি। সেখানেই তাঁরা সংসার করবেন। রাইয়ান তাঁর দেশে একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় কাজ করেন। তাঁর মা-বাবা ও এক ভাই আছেন। তবে তাঁরা আলাদা থাকেন।
সূত্র :প্রথম আলো।