পৃথিবীর বৃহত্তম ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের আলেফ হোল্ডিং এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রযুক্তি খাতের খ্যাতনামা বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইমরান খান। বৃহস্পতিবার প্রচারিত আলেফ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ‘ইমরান খান জয়েন্স আলেফ হোল্ডিং এজ চেয়ারম্যান; উইল হেল্প স্কেইল গ্লোবাল ডিজিটাল মিডিয়া ফার্ম এস ইট পাসেস ওয়ান বিলিয়ন ডলার রেভিনিউ’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- ইমরান খান আলেফ হোল্ডিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও গ্যাস্টন টারাটুটার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন।’
জানা গেছে, বাংলাদেশে জন্ম ও বড় হওয়া ইমরান খান ছোটবেলায় একজন তুখোড় তার্কিক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শিক্ষার্থী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে ২০০০ সালে ডেনভার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যানিয়েলস্ কলেজ অফ বিজনেস থেকে পড়াশুনা শেষ করেন। তিনি পৃথিবীর বৃহত্তম দুই টেক আইপিও, আলিবাবা এবং স্ন্যাপ-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি উদীয়মান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার জন্য সুপরিচিত। আলেফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, প্রতিষ্ঠানটি এ বছর ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব উপার্জনের ব্যাপারে আশাবাদী। নতুন বাজারে প্রবেশ করে, অতিরিক্ত অংশীদার যুক্ত করে এবং বহুমুখী সেবা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ইমরান খান প্রতিষ্ঠানকে এই মাইলফলক অতিক্রম করতে সাহায্য করবেন। বৃহত্তম ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে (যেমন ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, স্ন্যাপচ্যাট, টুইচ ও টিকটক) তাদের ওপর নির্ভরশীল বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়। এসব বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড এবং উঠতি উদ্যোক্তাও রয়েছেন। পৃথিবীব্যাপী ৭০টির বেশি মার্কেটে প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল মিডিয়ার বিভিন্ন সুবিধা প্রতিটি কোণায় যাতে পৌঁছে যায় তা নিশ্চিত করে আসছে। আলেফ-এর সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে গ্যাস্টন টারাটুটা যখন স্ন্যাপ-এর সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেন, তখন তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। তখন থেকেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রেখে আসছি, কারণ আলেফ-এর ব্যবসার ধরনটি অনন্য। এই প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক অবকাঠামো আন্তরিক স্থানীয় অভিজ্ঞতার সাহায্যে জোরদার হয়েছে। এর সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান এমনভাবে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটায়, যা এই ক্ষেত্রে আর কোনো প্রতিষ্ঠান পারে না। তারা যে প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে, তার ব্যাপকতা আর যে বাজারেই তারা প্রবেশ করে, সেখানকার বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর তাদের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি এমন একটি মডেল, যার প্রচুর উন্নতি করার সুযোগ আছে।’ আলেফ হোল্ডিংয়ের সিইও গ্যাস্টন টারাটুটা বলেন, ‘ইমরান বিপুল পরিমাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসছেন। আমাদের যাত্রার পরবর্তী ধাপের জন্য তাঁর উদ্যোক্তা-চিন্তা ও বৈশ্বিক প্রযুক্তি বিষয়ক অভিজ্ঞতার সমন্বয় সম্পূর্ণ যথাযথ। ২০০৫ সালে মাত্র ৫,০০০ মার্কিন ডলার নিয়ে আমি এই ব্যবসা শুরু করেছি, আর আজ আমরা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব নিয়ে বছরটি শেষ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আলেফ-এ আমরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সুযোগের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি এবং আমাদের তা অর্জন করতে সহায়তা করতে ইমরান মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।’