জুলাই বিপ্লবের নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরে ১৯ মে সোমবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দুটো ডকুমেন্টারী প্রদর্শিত হয়েছে । বাংলাদেশ সংক্রান্ত অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান আপসানা বেগম এমপি’র উদ্যোগে পোর্টকুলিস হাউসে “দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং” ও ‘জুলাই ওয়েম্যান’ নামের ২১ মিনিটের এই ডকুমেন্টারী প্রদর্শিত হয়।
প্রদর্শনী শেষে প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বৃটিশ এমপি রূপা হক, অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী আলোকচিত্রী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী ড. শহিদুল আলম, পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও চিত্রনাট্যকার ফারুক ধোন্দি, আইনজীবী ও ২০২৪ সালের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নওশিন নূর ও ডারাম ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক নৃতত্ত্ববিদ প্রফেসর নায়ানিকা মুখার্জী । এময় মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, একাডেমিক ও বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সদস্যের বর্ণনায় আন্দোলনের ধারা ও দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সেইসাথে বিশ্বব্যাপী আর্থিক নেটওয়ার্ক কিভাবে কর্তৃত্ববাদী শাসকদের সহায়তা করে—তাও উন্মোচন করে।
আপসানা বেগম এমপি বলেন, এই ডকুমেন্টারীগুলো কেবল ডকুমেন্টারিই নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। এই কণ্ঠস্বরগুলিকে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের মাধ্যমে আমরা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করি।
জবাবদিহিতা এবং সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে অগ্রসর হওয়ার সময় বিশ্বকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
ডকুমেন্টারি নির্মাতা দীপক কুমার গোস্বামী বলেন, “এই গল্প শুধু একটি দেশের নয় । বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোর দমন পীড়নের চিত্র তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব শুরু হয় সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে, যা পরবর্তীতে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রূপ নেয়।
১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সময়ে বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আনুমানিক ১,৪০০ ছাত্র-জনতা নিহত ও হাজার হাজার মানুষ আহত হন। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী মোড় হয়ে দাঁড়ায় । শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান, আর নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালিন সরকার গঠন।