সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে বক্তব্য এবং সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি তোলার পর ব্রিটেনে নিযুক্ত রাষ্টদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। বিবিসি বুধবার এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লন্ডনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিওয়ায় জোয়ার মিন বলেছেন, সেনা অভ্যুত্থানের পর তার দেশ ইতোমধ্যে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং মিয়ানমার এখন গৃহযুদ্ধ শুরুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি আরো বলনে, ‘মিয়ানমারের মানুষরা যেভাবে মারা যাচ্ছে এমনটা দেখতে চাই না। আমি সবাইকে (বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনী) থামতে বলছি। আমাদের দেশ এমনিতেই বিভক্ত এবং সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে। আমি শান্তি চাই।’
সামরিক জান্তা সরকার যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরও বিবিসিকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে নভেম্বরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত কিওয়ায় মিন বলেন, ‘সু চি আমাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং আমি তার আদেশ অনুসরণ করবো। আমি তার ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ সংকটের সমাধান নিউইয়র্ক কিংবা লন্ডনে নেই, এর সমাধান রয়েছে নেপিদোতে।’
২০১৩ সাল থেকে লন্ডনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কিওয়ায় মিন অবশ্য জানিয়েছেন, পক্ষত্যাগ বা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার পরিকল্পনা তার নেই। লন্ডন দূতাবাসের সঙ্গে জান্তা সরকারের সরাসরি যোগাযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।