যুক্তরাজ্যের সরকার আশ্রয় আবেদন হ্রাস করার উদ্দেশ্যে ছাত্র ভিসা আবেদনের ওপর কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা করছে, তা দেশের অর্থসংকটে ভোগা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য পরিস্থিতি “উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ” করে তুলবে বলে সতর্ক করেছে ইউনিভার্সিটিজ ইউকে (UUK)।
একটি নতুন অভিবাসন হোয়াইট পেপার প্রকাশের আগে জানা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকদের ছাত্র ভিসা আবেদনের ওপর নজরদারি বাড়ানো হতে পারে, যাদের ব্রিটেনে থেকে যাওয়া ও আশ্রয় প্রার্থনার সম্ভাবনা বেশি বলে ধরা হয়।
ইউনিভার্সিটিজ ইউকে-এর প্রধান নির্বাহী ভিভিয়েন স্টার্ন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি সংকটময় মূহুর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন যেকোনো ভিসা কড়াকড়ি তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী সংগ্রহের সক্ষমতা হ্রাস করবে এবং তাদের আয় আরও কমিয়ে দেবে।”
এর আগে পরিবারের সদস্যদের আনার ওপর বিধিনিষেধসহ ছাত্র ভিসায় নানা সীমাবদ্ধতা আরোপের পর থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়তে বা কাজ করতে আসা আবেদনকারীদের ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
সরকার ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে এসব দেশের আবেদনকারীদের প্রোফাইলিং মডেল তৈরি করছে, যারা পরবর্তীতে আশ্রয় চাইতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছর প্রায় ১০,০০০ মানুষ যারা কাজ বা পড়াশোনার ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন, তারা আশ্রয় চেয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থে হোটেলসহ নানা আবাসনে ছিলেন।
স্টার্ন বলেন, “এই হোয়াইট পেপার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার ক্ষমতা সীমিত করে দেবে এবং উচ্চশিক্ষা খাতে বিদ্যমান অর্থসংকট আরও খারাপ করবে।”