ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন বিএনপি-জামায়াতের বিপুল-সংখ্যক নেতাকর্মী । তারা বিভিন্নভাবে যুক্তরাজ্যে আসেন এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে আ’লীগের পতনের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন বিএনপি-জামায়াতের নামে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন তারা রিফিউজ হতে পারেন অথবা দেশে ফেরত যাওয়া লাগবে৷ তবে তাদের সেই আশঙ্কা অনেকটা ভুল প্রমাণিত হয়েছে ।এখনও যুক্তরাজ্য সরকার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আবেদনগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে এবং অনেকের আবেদন গ্রান্টও হচ্ছে।
তবে দেশের পট পরিবর্তনের পরও কিভাবে তাদের আবেদন সফল হচ্ছে- এ বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে কেইস উইন করা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে এখনও নির্বাচিত কোনো সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করায় এবং দেশে আশ্রয় প্রার্থীদের মামলাগুলো প্রত্যাহার না হওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য সরকার তাদের দেশে ফেরা ঝুঁকি মনে করছে ৷ সেজন্য গুরুত্ব বিবেচনায় অনেকের আবেদন গ্রান্ট করছে। যদি কেউ যথাযথভাবে হোম অফিসকে বিষয়গুলো বুঝাতে সক্ষম হয় তাহলে সে অবশ্যই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবে।
সলিসিটর মাহবুব তোহা সাপ্তাহিক দেশকে বলেন, দেশে এখনও রেজিম শেখ হাসিনার প্রশাসন রয়েছে, পুলিশ রয়েছে তাই আশ্রয় প্রার্থী ব্যক্তি দেশে ফিরলে সেই প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। এই বিষয়গুলো যুক্তরাজ্যের হোম অফিসকে বুঝাতে পারলে কেইস উইন করার সম্ভাবনা রয়েছে।