প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন ওরফে ক্যাথেরিন ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যানসার ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এক ভিডিও বিবৃতিতে ক্যাথরিন বলেছেন, অবিশ্বাস্য কঠিন কয়েকটি মাস পার করার পর এটি তার কাছে ছিল একটি ‘বিশাল ধাক্কা’।
সেই সঙ্গে একটি ইতিবাচক বার্তাও দিয়েছেন ক্যাথরিন। বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি এবং প্রতিদিন আরও শক্তি পাচ্ছি।’
অবশ্য ক্যানসারের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কেনসিংটন প্যালেস থেকে বলা হয়েছে, ক্যাথরিন ক্যানসার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হবেন এটি নিশ্চিত।
ক্যাথরিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে যখন তার পেটে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তখন ক্যানসার ধরা পড়েনি। তবে অপারেশনের পর পরীক্ষায় ক্যানসার ধরা পড়ে। তার মেডিকেল টিম তাই পরামর্শ দিয়েছে যে, তাকে প্রতিরোধমূলক কেমোথেরাপির কোর্স করানো উচিত এবং তিনি এখন সেই চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আছেন।
গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তার কেমোথেরাপি শুরু হয়েছে। প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে, ক্যানসারের ধরন ও চিকিৎসার মতো ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ করা হবে না।
ক্যাথরিন (৪২) বলেছেন, তিনি এই মুহূর্তে ক্যানসার আক্রান্ত সবার কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, ‘এই রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকের জন্য পরামর্শ, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, দয়া করে বিশ্বাস বা আশা হারাবেন না। আপনি একা নন।’
শুক্রবারের ঘোষণার আগে রাজা এবং রানিকে ক্যাথরিনের স্বাস্থ্যের খবর জানানো হয়েছিল। রাজা চার্লস নিজেও ক্যানসার আক্রান্ত। তারও চিকিৎসা চলছে।
প্রিন্সেস ক্যাথরিন এবং প্রিন্স উইলিয়াম এবার ইস্টার সানডে উদযাপনে রাজপরিবারের সঙ্গে জনসমক্ষে আসবেন না বলেই মনে হচ্ছে। ক্যাথরিনও শিগগির সরকারি দায়িত্বে ফিরবেন না।
প্রাসাদ থেকে আরও বলা হয়েছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি অনুষ্ঠানে প্রিন্স উইলিয়ামের হঠাৎ অনুপস্থিতির পেছনে ক্যাথরিনের ক্যানসার ধরা পড়ার বিষয়টিই ছিল।
গত জানুয়ারিতে ক্যাথরিনের অপারেশনের পর থেকে এই দম্পতিকে নিয়ে সাধারণের মধ্যে নানা জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়। তার স্বাস্থ্য নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। বড়দিনের পর থেকে ক্যাথরিন কোনো সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
এমনকি সম্প্রতি উইলিয়ামের পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার গুঞ্জনও চালু হয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি