টেমসসুরমাডেক্স: লাগাতার সহিংসতায় উত্তপ্ত মণিপুর। গত কয়েক দিন ধরেই বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে। ছয় নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে রাজ্যটিতে জরুরি পরিস্থিতি পার করছে সেখানকার বাসিন্দারা। এই সহিংসতার জন্য মণিপুরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কুকিদের দায়ী করেছে মেইতেই সম্প্রদায়ের নেতারা। যদিও পুলিশ এখনও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, সহিংস এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে বেশ কিছু এলাকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রদায় দুটির মধ্যে গত মে থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ক্রমাগত এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন আর বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার। শনিবার বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কয়েক ডজন আইন প্রণেতাদের বাড়ি এবং অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।
মেইতেই অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সেখানের ইম্ফল উপত্যকা এবং বিষ্ণুপুর জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। এমন সহিংস পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রোববার এই পরিস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। এ মাসে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের সহিংসতায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। গত ৭ই নভেম্বর রাজ্যের জিরিবাম জেলায় কুকি সম্প্রদায়ের এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গত কয়েক মাস ধরে চলা উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। ওই নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর চারদিন পর ওই এলাকার একটি থানা এবং ত্রাণ ক্যাম্পে হামলা করে মেইতেই সম্প্রদায়ের লোকজন। তবে এই হামলার দায় কুকিদের ওপর চাপিয়েছে তারা। যার জের ধরেই ক্রমাগত সিহংসতায় জ্বলছে মণিপুর রাজ্য।