শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির আশা ট্রাম্পের

সামরিক বলপ্রয়োগ ছাড়াই ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আশা করি, ইরানের পারমাণবিক সংকট এমনভাবে সমাধান হবে, যাতে ইসরায়েলকে দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাতে না হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য ইঙ্গিত করছে যে, সামরিক বলপ্রয়োগের পথে না হেঁটে কূটনৈতিকভাবেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলা করতে চাইছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওভাল অফিসে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলাকে সমর্থন করবেন কি না। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবো।

তিনি বলেন, আশা করছি, এটি এমনভাবে সমাধান করা যাবে, যাতে আরও কঠিন পদক্ষেপ নিতে না হয়। এটি সত্যিই ভালো হবে, যদি এটি সহজভাবে সমাধান করা যায়।

ট্রাম্প আরও বলেন, আশা করি, ইরান একটি চুক্তিতে আসবে। আর যদি না আসে তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।

এর আগে বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ইরানের কৌশলগত বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এবার দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসন আরও গুরুতর, আরও মনোযোগী এবং আরও বাস্তববাদী হবে।

২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্যসহ যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তি মোতাবেক ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। শর্ত মেনে চলার বদলে সে সময় ইরানের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

তবে ২০১৮ সালে একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। এরপর জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে পুরোনো ওই চুক্তিতে ফেরার কথা বলেন তিনি। এ লক্ষ্যে বিশ্বশক্তিগুলো বিভিন্ন সময় আলোচনা করলেও তা সফল হয়নি।

গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে চুক্তির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। গত কয়েক মাসে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ এ বিষয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনাও করে।

error: