দুই ক্রীড়া পরিবারে বিয়ে-সাদী নতুন কিছু নয়। কিন্তু সেই পাকিস্তানের খায়বার এজেন্সি থেকে এতো ডাক-ঢোলের আওয়াজ কেন ভাসছে? কারণটা কী এটাই যে, কন্যার বাবা শাহিবজাদা মোহাম্মদ শহিদ খান আফ্রিদি? যদি নব্বই দশকের ক্রিকেটভক্ত হোন আফ্রিদিকে মনে রাখবেন। ২০০০ সালের পরের হোন, তবুও আফ্রিদিকে মনে রাখবেন। এখনো দিব্যি চিরসবুজের মতো মানুষটা মাঠে ধাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রিয় তারকার দুর্দান্ত বোলিং আর মারকুটে ব্যাটিংয়ে চক্ষু শীতল আশায় এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে চোখ রাখতে ভুলেন না ভক্তকূ’ল।
কিন্তু এবারের আলোচনাটা একদমই ভিন্ন। আফ্রিদি পরিবারে বাজছে বিয়ের সানাই। আর পাগড়ী মাথায় তোলার অপেক্ষায় আরেকজন আফ্রিদি। শহিদ আফ্রিদির বড় মেয়ের নাম আকসা আফ্রিদি। বয়স ২০ বছর। বিয়ের বেনারশি পরার স্বপ্ন বুনছেন সমবয়সী শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বর হিসেবে বরণ করার জন্য। বর্তমানে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম পেসার শাহিন আফ্রিদি
ক্রীড়া পরিবারে বিয়ে হয়; কিন্তু শ্বশুর-জামাই হওয়ার প্রাককালে একে অপরকে ক্রিকেটে মাঠে মোকাবেলার দৃশ্য ইতোপূর্বে ক্রিকেট দেখেছে কি? সদ্য স্থগিত হওয়া পিএসএল যারা দেখেছেন, তারা হয়তো সেই সাক্ষী হয়েছেন, সামনেও হতে পারেন। সামনে হয়তো রসিক শিরোনামটা এমনও হতে পারে- ‘জামাই-শ্বশুর মুখোমুখি’।
শনিবার শাহিন আফ্রিদির বাবা আয়াজ খান আফ্রিদি জানিয়েছিলেন, ‘দুই পরিবারের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক পুরনো। আমাদের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাবটা দেয়া হয়েছিল। শহিদ আফ্রিদির পরিবার এতে রাজি হয়েছে। শিগগিরই বাগদান অনুষ্ঠান সেরে ফেলা হবে।’
বিষয়ের খবরটা বাবা আফ্রিদির মুখ থেকে না বের হওয়া পর্যন্ত ধোঁয়াশাই ছিল। কিন্তু রোববার সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই পরিষ্কার করেছেন বিষয়টি। আফ্রিদি লিখেছেন, ‘শাহিন আফ্রিদির পরিবার আমার কন্যার সাথে বিয়ের বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। দুই পরিবারই বিষয়টি বিবেচনা করে একমত হয়েছে। যদি আল্লাহ চান তবে খুব দ্রুতই বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমি দোয়া করি, শাহিন আফ্রিদি সবসময় সফল হোক মাঠে এবং মাঠের বাইরে।