কলকাতার জয় জন্য প্রয়োজন মাত্র ১৫৩ রান। ৮.৪ ওভারের মধ্যে ৭২ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার নীতিশ রানা শুবমান গিল। জয়ের সমীকরণ ৬৮ বলে ৮১ রানে নেমে আসায় ম্যাচ তখন কলকাতার কবজায়।
কিন্তু ম্যাচটা এ জায়গাতেই কঠিন করে ফেলেন কলকাতার ব্যাটসম্যানরাই। শেষ পর্যন্ত সহজ ম্যাচ কঠিন করে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে ১০ রানে হেরেছে কলকাতা।
১৩তম ওভারে ১০৪ রান তুলতে ফিরে যান কলকাতা অধিনায়ক এউইন মরগানও। ততক্ষণে কলকাতার ৩ উইকেট নেই। ৪৩ বলে ৪৯ রানের সমীকরণে থাকতে বেশ চাপেই পড়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটি।
এমন সময় ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। কলকাতার আগের ম্যাচে সাতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। কিন্তু আজ বিপদ টের পেয়ে সাকিবের ব্যাটিং সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখে দলটির ম্যানেজমেন্ট।
বোলিংয়ে দারুণ করলেও ব্যাট হাতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সাকিব। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাকিব (৯ বলে ৯ রান)। কলকাতা তখন জয় থেকে ২৮ বলে ৩১ রানের দূরত্বে। হাতে ৫ উইকেট।
এখান থেকেও অবশ্য কলকাতার বিপদ হয়নি। কারণ ক্রিজে আসেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের খুনে মেজাজের ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। অন্য প্রান্তে অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ১৯ রান দরকার ছিল কলকাতার। মাঝে যশপ্রীত বুমরা ও ক্রুনাল পান্ডিয়া কলকাতাকে চাপে ফেলেন ভালো বল করে।
১৯তম ওভারটি করেন বুমরা। এই ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে কলকাতার জয়ের সমীকরণ শেষ ওভারে ১৫ রানে কঠিন হিসেবে নিয়ে আসেন ভারতের এই ‘ডেথ ওভার’ বিশেষজ্ঞ পেসার। ট্রেন্ট বোল্ট এসে শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে মাত্র ২ রান দেন।
পরের বলে রাসেলকে (১৫ বলে ৯) তুলে নেন নিউজিল্যান্ডের এ পেসার। প্যাট কামিন্সকেও চতুর্থ বলে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন বোল্ট।
কিন্তু হরভজন সিং এসে সেটি আর হতে দেননি। কলকাতাও জিততে পারেনি। ৭ উইকেটে ১৪২ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। মুম্বাইয়ের হয়ে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেন রাহুল চাহার।