টেমসসুরমা: সাংবাদিক ফরিদ আলমের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে নিউইয়র্কের সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশে দু’দফা দাবী না মানা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল অনুষ্ঠান বর্জনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মসূচী প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক ভিত্তিক নতুন মিডিয়া ‘এনসিএন’-এর এক্সিকিউটিভ এডিটর ফরিদ আলমের এক প্রশ্ন-কে কেন্দ্র করে তার উপর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সাংবাদিকের উপর আক্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ-কে প্রকাশ্যে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও দু:খ প্রকাশ এবং আক্রমণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ/সহযোগী সংগঠনগুলোর সংবাদ ও অনুষ্ঠান বর্জন করা হবে। উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন মঞ্চে উপবিষ্ট প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে সিটির জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আয়োজিত ব্যতিক্রমী এই প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক আজকাল-এর প্রধান সম্পাদক মনজুর আহমদ, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, সাপ্তাহিক আজকাল-এর সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক মিজানুর রহমান, ভয়েস অব আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধি আকবর হায়দার কিরন, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সিরাজুল ইসলাম ও মনোয়ারুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক-এর বিশেষ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, প্রথম আলো’র রওশন হক প্রমুখ।
সাপ্তাহিক নবযুগ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাগরের সঞ্চালনায় সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, সিনিয়র সাংবাদিক তাসের মাহমুদ ও মাইন উদ্দিন আহমেদ এবং সাপ্তাহিক দেশ-এর প্রকাশক মঞ্জুর হোসেন সহ উল্লেখযোগ্য সাংবাদিকদের মধ্যে ইমরান আনসারী, মীর ওয়াজেদ এ শিবলী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, নীহার সিদ্দিকী, মমিন মজুমদার, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সনজীবন সরকার, মঞ্জুরুল হক, এমদাদ হোসেন দীপু, রশীদ আহমদ, মল্লিকা খান মুনা, কানু দত্ত, শাহ জে চৌধুরী, রিজু মোহাম্মদ, সোহেল মাহমুদ, শাহ ফারুক, আবুল কাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সাংবাদিক ফরিদ আলম যুক্তরাষ্ট্রের আইনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কাছে রিপোর্ট করেছেন এবং ঐ রাতেই স্থানীয় এলমহার্স্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বর্তমানে তিনি নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের জ্যামাইকার বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। হামলার সময় আওয়ামী কর্মীদের ছিনিয়ে নেয়া তার ফোন পাওয়া গেলেও মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি। মানিব্যাগে ৪ হাজার ডলার ছাড়াও আইডি ও ব্যাংক কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিলো বলে ফরিদ আলম জানান।