টেমসসুরমাডেক্স: এ প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত উত্তর হল যে আসাদ ছাড়া কেউ সত্যিই জানে না- যিনি রাশিয়ায় পালিয়ে গেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ‘বিদ্রোহীরা’ কোনো একচেটিয়া দল নয়। মূলত, যে দলটি আলেপ্পো ও হোমস দখলে নিয়েছিল এবং উত্তর দিক থেকে দামাস্কাসের কাছে পৌঁছেছিলো তারা দামাস্কাসের দক্ষিণ শহরতলীতে প্রবেশকারী দলটির মতো নয়। এই দুটি প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিজেরা অভ্যন্তরীণভাবে সমন্বিত নয় এবং সম্ভবত শীঘ্রই খণ্ডিত হয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই শুরু করবে কারণ তাদের সামনে আর কোনো সাধারণ শত্রু নেই।
রাশিয়া এবং ইরান এই ঘটনাপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা হারিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত, এবং ইরানের ক্লায়েন্টরা ইসরাইলের কাছ থেকে ধাক্কা খেয়েছে। সিরিয়ার জন্য যে দৃশ্যকল্পটি অনুমান করা হচ্ছে তার সাথে লিবিয়ার মিল রয়েছে : স্বল্প সময়ের আপেক্ষিক নীরবতা (এটিকে ‘শান্তি’ বলে ভাবলে ভুল হবে), শীঘ্রই একটি জটিল এবং বিভ্রান্তিকর, বহুমাত্রিক, সাম্প্রদায়িক জটিলতা দেশটিকে ঘিরে ধরতে পারে।
সংগ্রাম শেষে দেশটির নামটি হয়তো ‘সিরিয়া’ থাকবে। তবে নিশ্চিত করে বলা যায় এটি স্বৈরাচারের উপর গণতন্ত্রের বিজয় নয়। ভূ-রাজনৈতিকভাবে, আসাদের পতন ইরানের প্রতিরক্ষাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে । অন্যদিকে, ইসরাইল তার উত্তর সীমান্তে আরেকটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে জর্জরিত, যেখান থেকে কিছু হামাস-সদৃশ গোষ্ঠীর উদ্ভব হতে পারে।
তদুপরি, প্রতিরক্ষা ফ্রন্টের ক্ষতি ইরানকে পারমাণবিক শক্তিতে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করতে পারে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তুরস্ক কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জোরদার করবে। তবে আঙ্কারা পুরো সিরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারে বা করতে চায় কিনা সন্দেহ। তারা সম্ভবত কুর্দিদের দমন করে সীমান্তে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠা করেই ক্ষান্ত হবে।
সূত্র: গ্লোবাল ব্রিফ