সিলেটের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির উপরে

বেড়েই চলছে সিলেটের তাপমাত্রা। প্রতিদিনই রেকর্ড ছুঁইছে তাপমাত্রা। শনিবার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে সিলেট। শনিবার বিকাল ৩টায় সিলেটে তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই বছরের সর্বোচ্চ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন।

 সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার তাপমাত্রার পারদ ছিলো ৩৭.৭ ডিগ্রী। এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাপমাত্রার পারদ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ ছিলো। একদিন পরই সে রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যায়।

তাপমাত্রা বাড়ায় বেড়েছে গরমও। গত তিন চারদিন ধরে টানা গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা রয়েছেন কষ্টে।

এর আগে গত ১৬ মে তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। তখন সেটিই ছিলো মৌসুমের সর্বোচ্চ। এরপর থেকেই ধারাবিহকভাবে বেড়ে চলছে তাপমাত্রা।

সিলেটে গত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। মাঝখানে সোমবার বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। আবারও বেড়ে যায় তাপমাত্রার পারদ। গরমের সাথে যুক্ত হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেটবাসী।

গরমে চাহিদা বেড়েছে আখের রস, ডাবসহ তরল খাবারের। নগরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছে লোকজন জড়ো হয়ে লেবুর শরবত, আখের রস ও ডাব কিনে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। 

 এদিকে, চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা আরও পরিণত হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি সামান্য উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হয়, যার অভিমুখ ছিল বাংলাদেশের দিকে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর এখন উত্তাল। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আরও শক্তি অর্জন করে শুক্রবার মধ্যরাতে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। রবিবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আর এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সিলেটেও হতে পারে বৃষ্টি।

error: