সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ: অবনতির দিকে সিলেটে। বাড়ছে বানের পানি। উজানের ঢলের সঙ্গে হচ্ছে বৃষ্টি। এতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরসহ গোটা সিলেট। সিলেট ছাড়াও সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদরসহ অন্যান্য উপজেলার অবস্থা নাজেহাল।
বিশেষ করে সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সেখানকার অধিকাংশ এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রধান সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এ চার উপজেলার পানিবন্দি মানুষ ছুটছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। শুধু উপজেলা নয়, নগরীর অবস্থাও নাজুক।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে- আজ পর্যন্ত সিলেটে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলার ১৩শ’ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ৬২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ১৭ হাজার ২৮৫ জন বানভাসী মানুষ।
এদিকে- আজ ভোর রাত থেকে সিলেটে ভারী বর্ষন হচ্ছে। এই বর্ষনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেটের সঙ্গে গোয়াইনঘাটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, জাফলং-গোয়াইনঘাট সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- সিলেট জেলায় সকাল ৯টা পর্যন্ত শেষ ১৫ ঘন্টায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন- সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার অনেক উপরে অবস্থান করছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে বলে জানান তিনি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- সিলেট জেলায় সকাল ৯টা পর্যন্ত শেষ ১৫ ঘন্টায় ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন- সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার অনেক উপরে অবস্থান করছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পানি বাড়ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে- সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকায় বিদ্যুতের সাব স্টেশন ঝুঁকিতে রয়েছে। সুরমার নদীর তীরবর্তী ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পানি ঢুকে গেলে গোটা দক্ষিণ সুরমা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে।
এদিকে, মহানগরের সব নিচু এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বিশেষ করে শাহজালাল উপশহর প্রায় পুরোটাই পানির নিচে। অনেকের বাসার নিচতলায় গলা পর্যন্ত পানি। এছাড়া যতরপুর, মেন্দিবাগ, শিবগঞ্জ, রায়নগর, সোবহানীঘাট, কালিঘাট, কামালগড়, মাছিমপুর, তালতলা, জামতলা, কাজিরবাজার, মাদিনা মার্কেট, স্টেশন রোড, আখালিয়া ও মেজরটিলাসহ মহানগরের অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত। বন্যায় অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বলে জানায় সিলেট সিটি করপোরেশন।
অনেকে বলছেন, সিলেট আগে এমন ছিলো না l ভারী বর্ষণ হলে উপশহরে মেইন রোডে বড়জোর আধা ঘন্টা পানি থাকতো l তাও প্রত্যেক বছর না। কিন্তু ২০২২ আর ২০২৪ এর হিসাব মেলাতে পারছেন না তারা। কেন এমন হচ্ছে।

error: