উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করা প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর লেখা করার সুযোগ নেই।
২০১৮ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি এবং বৃত্তিমূলক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য ১১ লাখ আসন রয়েছে রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন রয়েছে সাড়ে ৮ লাখ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (মেডিক্যাল কলেজসহ) ৫৬ হাজার।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই সবাই পাস করেছে। জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের ভিত্তিতে এবার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশ উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফল ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ফলাফল গ্রহণ করেন। পরে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ইতোমধ্যে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে মানসম্পন্ন শিক্ষা দিতে অক্ষম। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত এখনও বেশি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ১৯, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১: ২২ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠানে ১: ৩০।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমেরিটাস ড. মনজুর আহমেদ বলেন, উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য টিএসআর ১: ১৫ হতে হবে। এই অনুপাতের চেয়ে বেশি হলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা করার ক্ষমতা নেই। সর্বোচ্চ ৮ লাখ শিক্ষার্থী স্থান দেওয়া সম্ভব। বাকিদের বৃত্তিমূলক শিক্ষার দিকে যেতে হবে। তবে সকল পরীক্ষার্থীকে পাস নম্বর দেওয়া ছাড়া সরকারের আর কোনও উপায় ছিল না।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এত শিক্ষার্থীর কীভাবে লেখাপড়া করানো সম্ভব জানতে চাইলে ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সবার উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে তা তো নয়। আবার সবাই উচ্চশিক্ষায় ভর্তিও হবে না। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষা রয়েছে সেখানে তারা ভর্তি হতে পারবে।