ওসমানী নগরে বাসের চাপায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী নিহিত

সিলেটের ওসমানীনগরে বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাসের চাপায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোঃ চান মিয়া নিহত হয়েছেন। তিনি নিজ করনসী দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।

বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল পৌনে চারটার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ৩ জনকে হাসাপালে পাঠানো হয়েছে এবং অল্পের জন্য নিহতের নববিবাহিতা স্ত্রী সহ ৩-৪ জন রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গেছে। 

প্রতক্ষ্যদর্শীসূত্রে জানা যায়, চান মিয়া তার নববিবাহিতা স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মার্কেটিং শেষে গোয়ালাবাজার যাত্রী চাউনির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

এসময় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বিরতীহীন বাস (ঢাকা মেট্রো-জ- ১১-২২৬৪) একটি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত রিকশাকে চাপা দিয়ে তাদের ওপর তুলে দেয়। 

এতে ঘটনাস্থলেই হয় চান মিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু। আহত অবস্থায় একই গ্রামের মো. চুনু মিয়াসহ অজ্ঞাত ২ জনকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রায় এক মাস পূর্বে দেশে ফিরে গত ২৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন চাঁন মিয়া। 

এদিকে, দুর্ঘটনার পরপর বিক্ষোব্ধ মহাসড়ক অবরোধ সহ ৫টি বাস ভাঙচুর করে এবং দুর্ঘটনা কবলিত বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।  

এলাকাবাসী জানান, লোকাল বিরতীহীন বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে না পৌঁছালে জরিমানা গুণতে হয়। যাত্রী উঠানোর কাজে সিলেটের ৩টি স্থানে দীর্ঘ সময় ব্যয় করার পর সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেপরোয়া  
গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকে। যার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয় সাধারণ মানুষকে। 

এছাড়া এই গাড়িগুলো গোয়ালাবাজার, তাজপুর সহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় মহাসড়কের বিশৃংখল পরিস্থিতি তৈরী করে আসলেও বিষয়টি দেখা কেউ নেই।

ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয় জনতা বিক্ষোব্ধ হয়ে উঠলে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তা নিয়ন্ত্রণের আনতে সক্ষম হই। 

error: