দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনের বিস্তারে উদ্বেগ জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এ ক্ষেত্রে আরো গবেষণা করা হবে। একই সঙ্গে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
বাবা, মা, চাচা, ফুফা। পরিবারের সদস্যদের আইসিইউতে রেখে বাইরে বাইরে অপেক্ষা স্বজনদের। কেউ জানেন না, শেষ পর্যন্ত কে সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। তবে একটি আইসিইউ বেড খুঁজে পাওয়ার আগে প্রত্যেকের রয়েছে দীর্ঘ বিড়ম্বনার গল্প।তারা বলেন, কোথাও আইসিইউ খালি নেই। ঘণ্টাখানেক পর একটা খালি পেয়েছি। এখন তিনি লাইফ সাপোর্টে আছে।
কোভিডের এই ধাপে মাত্র একটি ফ্লোর কোভিড রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড করেছিল গ্রিন লাইফ হাসপাতাল। এখন তিনটি ফ্লোরে থাকা দেড়শ’ শয্যার একটিও ফাঁকা নেই। ১৮ শয্যার আইসিইউ বেড পূর্ণ হওয়ার পরও অন্য রোগীর স্বজনরা অপেক্ষায় ভর্তির জন্য।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা তাদের বলেছি এখানে হবে না। কতক্ষণ অপেক্ষা করলে পাবেন তারও ঠিক নেই। তবুও তারা আশা নিয়ে বসে আছেন। এদিকে আইসিডিডিআরবির গবেষণায় উঠে আসা ৮১ শতাংশ রোগীর দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে এটি নিশ্চিত হতে সরকারি আরও দুটি ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।কোভিড রোগীদের একটি অংশের প্রথম থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে। মৃত্যুহার কমাতে চলমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।