বলতে গেলে টাওয়ার হ্যামলেটস বারার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রতিদন্ধিতায় লীডার হিসাবে একাই লড়েছেন। তার কণ্ঠস্বর যে টাওয়ার হ্যামলেটসবাসীর কণ্ঠস্বর ছিল, সেটা ৬মে নির্বাচনে ভোটাররা দেখিয়ে দিয়েছেনও।বিজয়ের হাসি হেসেছেন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান।
৪৫ হাজার ৭৮ ভোটের ব্যবধান নিয়ে টাওয়ার হ্যামলেট
লেবার পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাঙালি অধ্যুষ্যিত টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় ক্ষমতাশীন কনজারভেটিভ, বিরোধী দল লেবার , লিবডেম, গ্রীণ পার্টি সহ সকল দলের ক্যাম্পেইন ছিল লিডিং টুগেদার এর পক্ষে। সে হিসাবে একাই লড়েছেন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান এবং জিতেছেন টাওয়ার হ্যামলেটস রেফারেন্ডাম এ- ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেইন ।
এই ক্যাম্পেইনে সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন বাংলাদেশী বংশদ্ভোদ বেথনাল্গ্রীণ এবং বো আসনের লেবার এমপি রুশনারা আলীও। ছিলেন লেবার কেবিনেটের লিডিং টুগেদার সমর্থনে।
বলতে গেলে বারার অন্যান্য দলের সকল ছোট-বড় লীডার এক হয়েও সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান এর ইয়েস মেয়র ক্যাম্পেনের কাছে লজ্জাজনক ভাবে ধরাশায়ী হয়েছেন। ভোটের পরিসংখ্যান বলছে- বারার বাসিন্দারা লুৎফুর রহমান সমর্থিত মেয়র পদ্ধতিই চান তারা।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৬মের নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের রেফারেন্ডামটি সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই।
২০১৪ সালে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল অপপ্রচার এবং দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে । গণভোটের এই বিশাল জয়ের মধ্যদিয় তিনি ভোটের রাজনীতিতে উজ্জ্বলভাবে ফিরে আসলেন।
এদিকে নিউহ্যামে ৪৪ হাজার ভোট পেয়ে ইয়েস মেয়র জয়যুক্ত হয়েছে। নো মেয়রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৮ হাজার।