গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩১ জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই একদিনে দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এবং আজ দেশে ১৩ হাজার ৩২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে, গত ১২ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
গতকাল করোনায় ২২৫ জন, গত পরশু ২০৪ জন, তার আগের দিন ১৮৭ জন ও গত ১৫ জুলাই ২২৬ জন মারা যান।
এ পর্যন্ত দেশে ১৮ হাজার ১২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩১০ জন।
আজ সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে ৪৫ হাজার ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ১৩ হাজার ৩২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আজ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩১ জনের মধ্যে ১৩৬ জন পুরুষ ও ৯৫ জন নারী। বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে একজনের বয়স বয়স ১১-২০ বছরের মধ্যে, ছয় জনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, নয় জনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ৩৩ জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, ৪৩ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৭৪ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ৪৪ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, ১৭ জনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ও চার জনের বয়স ৯১-১০০ বছরের মধ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ জন মারা গেছেন। বরিশাল বিভাগে এ সময়ে সবচেয়ে কম ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৬ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন, সিলেট বিভাগে আট জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন মারা গেছেন।
আর, তাদের মধ্যে দেশের সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন ও বাসায় মারা গেছেন ১৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ছয় হাজার ৫৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ২২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮৭ জন, খুলনা বিভাগে এক হাজার ১৬৫ জন, রংপুর বিভাগে ৫৯২ জন, সিলেট বিভাগে ৪৮৬ জন, বরিশাল বিভাগে ৮৯১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
একই সময়ে দেশে সুস্থ হয়েছেন নয় হাজার ৩৩৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৪১ হাজার ৩৪৩ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ২৫ শতাংশ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৬২ শতাংশ।