তিনি যে আসবেন সেটা আগেই ঠিক ছিল। ‘বিদায়’ শব্দটা আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চারণ করতে। হয়তো আরও কিছু বলবেন—বার্সেলোনাকে কতটা ভালোবেসেছেন, বার্সেলোনার জন্য কতটা কাঁদবে তাঁর প্রাণ, বার্সেলোনা তাঁর হৃদয়ের কতটা জায়গা জুড়ে ছিল, আছে এবং থাকবে। লিওনেল মেসির মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনতেই সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সবাই।
ক্যাম্প ন্যুর বাইরে সমর্থকরা ভিড় করছেন।আর ভেতরে প্রথম সারিতে মাঝামাঝি তিনটি চেয়ারে বসে মেসির তিন ছেলে। সেখানেই আরেকটি চেয়ারে স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। তাঁর বার্সেলোনা সতীর্থরা সবাই বসেছিলেন একসঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনের কক্ষে ছিলেন সাবেক সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ–কার্লোস পুয়োলরাও। সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাসহ ছিলেন ক্লাবের অন্য কর্মকর্তারাও। আর ছিলেন সংবাদকর্মীরা।
অবশেষে মেসি এলেন। সংবাদ সম্মেলনকক্ষের দরজা দিয়ে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে তাঁদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। মেসির হৃদয়ের অনেকটা জুড়েই বার্সেলোনা, সেই ক্লাবকে বিদায় বলাটা এত সহজ নয়।
সংবাদ সম্মেলনকক্ষে নিজেকে সামলে নিতে একটু সময় নিলেন তিনি। এরপর শুরু করলেন কথা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে বিদায়ী বক্তব্যের শুরুতে মেসি বললেন, ‘গত কয়েক দিনে অনেক ভেবেছি, কী বলব এখানে। সত্যিটা হচ্ছে, কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। জীবনের এতগুলো বছর এখানে কাটানোর পর আমার জন্য এই দিনটা অনেক বেশি কঠিন।’
এতটুকু বলার পর গলাটা যেন ধরে এল মেসির। একটু থামলেন, কাঁদলেন, টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে তখন কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। মেসির কান্না সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বুসকেতস, পিকে আলাবাদের চোখে। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে মেসি আবার শুরু করেন, ‘গত বছর বুরোফ্যাক্স নিয়ে নাটকের সময় (ক্লাব ছাড়তে হলে) আমি কী বলব, সেটা ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু এ বছর সবকিছু অনেক ভিন্ন। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। আমি এখানে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজ সবকিছু ছেড়ে যেতে হচ্ছে।’
অবশেষে মেসি এলেন। সংবাদ সম্মেলনকক্ষের দরজা দিয়ে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার মানুষটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে তাঁদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। মেসির হৃদয়ের অনেকটা জুড়েই বার্সেলোনা, সেই ক্লাবকে বিদায় বলাটা এত সহজ নয়।
সংবাদ সম্মেলনকক্ষে নিজেকে সামলে নিতে একটু সময় নিলেন। এরপর শুরু করলেন কথা। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে বিদায়ী বক্তব্যের শুরুতে মেসি বললেন, ‘গত কয়েক দিনে অনেক ভেবেছি, কী বলব এখানে। সত্যিটা হচ্ছে, কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। জীবনের এতগুলো বছর এখানে কাটানোর পর আমার জন্য এই দিনটা অনেক বেশি কঠিন।’
এতটুকু বলার পর গলাটা যেন ধরে এল মেসির। একটু থামলেন, কাঁদলেন, টিস্যু দিয়ে চোখ মুছলেন। সংবাদ সম্মেলনকক্ষে তখন কাঁদতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। মেসির কান্না সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বুসকেতস, পিকে আলাবাদের চোখে। নিজেকে একটু সামলে নিয়ে মেসি আবার শুরু করেন, ‘গত বছর বুরোফ্যাক্স নিয়ে নাটকের সময় (ক্লাব ছাড়তে হলে) আমি কী বলব, সেটা ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু এ বছর সবকিছু অনেক ভিন্ন। এটা আমার ঘর, আমাদের ঘর। আমি এখানে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটাই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজ সবকিছু ছেড়ে যেতে হচ্ছে।’
প্রতিটা বিষয়ে মেসির বক্তব্যের পরই দর্শকসারি থেকে ভেসে এসেছে হাততালির শব্দ। মেসির কণ্ঠও বাষ্পরুদ্ধ হয়ে আসছিল বারবার। সেই কান্না থামিয়ে ক্লাবকে শেষবারের মতো বিদায় বলার পর্বটি শুরু করেন মেসি, ‘১৩ বছর বয়সে এখানে এসেছিলাম আমি। আজ ২১ বছর পর ক্লাব ছেড়ে যাচ্ছি। আমি, আমার স্ত্রী, আমার তিন কাতালান-আর্জেন্টাইন সন্তান…। ক্লাবটাতে যা করেছি, তা নিয়ে আমি গর্বিত।’
এরপর আর চাপাকান্না নয়, বিদায়ের কথা বলতে গিয়ে মেসি অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন। বাকিদের চোখেও তখন জল। বিদায় নামের কঠিন কথার মানে হয়তো এখনো বুঝে উঠতে পারেনি মেসির ছোট ছেলে। চেয়ারে বসে নড়াচড়া করছিল সে। কিন্তু বাবার চোখে জল দেখে আর বাবাকে বিদায় বলতে শুনে একদমই চুপ হয়ে যায় বড় আর মেজ ছেলে!
মেসি বক্তৃতা শেষ করেন আবারও বার্সেলোনায় ফিরে আসার প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে, ‘দেড় বছর ধরে মাঠে আমাদের সমর্থকদের দেখতে পাইনি। তাঁদের না দেখে বিদায় নিতে হচ্ছে, এই ব্যাপারটাই বেশি কষ্ট দিচ্ছে। তবে আমি এখানে আবার ফিরব, এটা আমার ঘর। আমার সন্তানদেরও আমি কথা দিয়েছি, আমি আবার এখানে ফিরে আসব।’
এরপর সংবাদ সম্মেলনকক্ষে থাকা সবাই উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে মেসিকে সম্মান জানান। উঠে দাঁড়ান মেসির স্ত্রী রোকুজ্জোও। তাঁর বড় ও মেজ ছেলে চুপচাপ বসে ছিল নিজেদের আসনে। ছোট ছেলেটা তখনো বুঝে উঠতে পারছিল না কিছুই। এরপরই শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, বার্সেলোনায় মেসির শেষ সংবাদ সম্মেলন।