টেমসসুরমানিউজডেক্স:ইভিএমের অডিট কার্ডে ফলাফল পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করেন ভোডাফোন নেদারল্যান্ডসের সিনিয়র সল্যুশন অর্কিটেক্ট ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ইভিএমে ইন্টিগ্রেটেড ও স্বয়ংক্রিয় রেজাল্ট তৈরির সুযোগ নেই, বরং হাতে ফলাফল তৈরি হয়। এসডি কার্ড বা অডিট কার্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রের বুথ থেকে ফলাফল হস্তান্তরের পরের সব প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল। কেন্দ্রের ফলাফল ও পুরো আসনের সবকেন্দ্রের ফলাফল তৈরি হয় ম্যানুয়ালভাবে। মেশিন নষ্ট, হ্যাং কিংবা ব্যাকআপ রাখার কারণের নির্বাচন কমিশন থেকে এক্সট্রা কার্ড দেয়া হয়।
অডিট কার্ডের চিপ টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে, আগে থেকেই ধারণ করা প্রি-লোডেড ফলাফলের মাধ্যমে কিংবা অন্য একটি অডিট কার্ডের মাধ্যমে জালিয়াতি সম্ভব।
শনিবার সন্ধ্যায় ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের আয়োজনে ‘ইভিএমে সমস্যা কোথায়?’ শিরোনামের এক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এবং অর্থনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইভিএমের আরো কিছু চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
সেগুলো হচ্ছে:
১. স্বচ্ছ ব্যালটবক্স দেখানোর বাধ্যবাধকতার মতো অডিট কার্ডে আগে থেকেই কোনো ফলাফল রেকর্ড করা আছে কি না, তা চেক করার ব্যবস্থা নেই।
২. ইভিএমে ভোটার ভেরিফাইড পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপিএটি) নেই। পেপার ব্যাক অডিট ট্রেইল হচ্ছে ভোটের স্লিপ। সেটা ভোট দেওয়ার রিসিপট। এর মাধ্যমে ভোটার নিশ্চিত হন, তিনি কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। এই রিসিপট ভোটের পরে ভোটার নিজে স্বচ্ছ ব্যালটবক্সে ফেলবেন, নিয়ে যাবেন না। জালিয়াতির অভিযোগ থাকলে, এই স্লিপ গুণে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়।