যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে তিন মেয়াদে ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় রয়েছে ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে হয়তো আর সেই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবেনা। প্রায় ১৫ বছর পর দেশটির ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। সাধারণ নির্বাচনেও তারা সুবিধা করতে পারবে কি না তা নিয়েও বেশ শঙ্কা রয়েছে।
পাঁচ বছর পরপর যুক্তরাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটিতে শেষ জাতীয় নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই হিসেবে ২০২৫ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ঋষি সুনাক। আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন।
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন ব্রিটিশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমারও থেমে নেই। দুই নেতাই ভোটারদের নিজ নিজ দলে ভোট দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন।
দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা অনেকটাই অনুমেয়। ইতোমধ্যে লেবার পার্টি তাদের ওয়েবসাইটে ছায়া মন্ত্রীসভার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসবেন কেইর স্টারমার।
সাম্প্রতিক কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, ১৪ বছর শাসন করার পরও লেবার পার্টির চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে আছে সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টি।
গত তিন বছরে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দীর্ঘ সময় ধরে আটকে রয়েছে।
নির্বাচনে জিততে পুরোদমে প্রচারণায় অংশ নিয়েছে লেবার পার্টি। দলটির নির্বাচনি ইশতেহারে বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচন পরিবর্তনের নির্বাচন। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এবং ঢেলে সাজাতে লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার বিকল্প নেই।
সূত্রঃ পলিটিকো