শহরের কাজীটুলায় গৃহবধু তামান্না বেগম হত্যা মামলায় এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তার নাম এমরান। সে তামান্নার স্বামী আল মামুনের বোন জামাই। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এজাহারের ২নং আসামি এমরানকে (৩০) নগরীর সোবহানীঘাট এলাকা থেকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম মিঞা জানান, পুলিশ মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় আসামি এমরান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। তার রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সোমবার রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা (মামলা নং ৫৮) দায়ের করে। মামলায় নিহতের স্বামী মো. আল মামুনসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় মামুন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- এমরান, পারভীন, ম্হাবুব সরকার, বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে নগরীর কাজীটুলার অন্তরঙ্গ ৪ নং বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গৃহবধূ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী আল মামুনের সাথে তামান্নার বিয়ে হয়।
পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী । রোববার রাতের কোনো এক সময় তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলেও ধারণা পুলিশের। জানা গেছে, তামান্নার সাথে বিয়ের আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিলেন মামুন। মামুনের বিরুদ্ধে আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাও রয়েছে। আগের স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে তার। ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে সে বিয়ে করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
মো. আল মামুনের মুল বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার হোগলারচরে। সে নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। আর তামান্না বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামে। তবে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।