মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা প্রদান ও তাঁর বীরত্বগাঁথা জীবনী বাংলাদেশের স্কুল,কলেজ ও ইউনিভারসিটির পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর সোমবার বঙ্গবীর ওসমানী মেমোরিয়েল ফাউণ্ডেশন ইউকের পক্ষ থেকে পূর্ব লণ্ডনের ভ্যালেন্স রোডস্থ এক কনিউনিটি হলে আয়েজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব কবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি কে এম আবুতাহের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শেখ মোঃ মফিজুর রহমান। অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন -খান জামাল নুরুল ইসলাম,শাহ মুনিম ,মুজিবুর রহমান ,কাউন্সিলার ওসমান গনি ,আব্দুল মুনিম চৌধুরী বুলবুল ,সলিসিটর ইয়াওর উদ্দিন প্রমুখ ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদেধর সময় বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ‘কমাণ্ডার ইন চীফ ‘ হিসাবে দীর্ঘ নয় মাস রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধের অসাধারন নেতৃত্ব দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। জেনারেল ওসমানীর প্রজ্ঞা ,রণকৌশল ,সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার ফলে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছিল। জেনারেল ওসমানী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বৃটিশ সেনাবাহিনীতে ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ মেজর। পাক-ভারত যুদ্ধের সময়ও তিনি অনেক বীরত্ব দেখিয়েছেন। জেনারেল ওসমানী বাঙালী জাতির গর্ব ও একজন সুদক্ষ সমরবিদ ছিলেন। পরবর্তী জীবনে এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আজীবন ছিলেন সংসদীয় গণতন্ত্রের অনুসারী। তিনি আমাদের জাতির একজন রোল মডেল ও বীর সিপাহসালার বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্র্বতীকালীন সরকার বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর পাঠ্যসূচিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জীবন ইতিহাস লিপিবদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রণয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি ।
সংবাদ সম্মেলনে জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান ,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে সঠিকভাবে মর্যাদা ও মূল্যায়ণ করার জন্য বেশ কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, বঙ্গবীর ওসমানীর জীবনী ও সকল বীরত্বগাঁথা কাহিনী বাংলাদেশের স্কুল ,কলেজ ও ইউনিভার্সিটির পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত করা ,প্রতি বছর জেনারেল ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা, জেনারেল ওসমানীর নামে একটি মিলিটারী একাডেমি, সেনাবাহিনীর রেজিমেন্ট ও ক্যান্টনমেন্টের নামকরণ করা।