ক্ষমতা ছেড়ে কোনোমতে জীবন নিয়ে পালান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। যে বিমান তাকে নিয়ে আকাশে উড়েছে তাতে তার স্ত্রী আসমা এবং দুই সন্তান ছিলেন কিনা তাও কেউ বলতে পারছেন না। কেউই বলতে পারছেন না বাশার আল আসাদের শেষ গন্তব্য আসলে কোথায়। তাকে বহনকারী বিমানকেও আর শনাক্ত করতে পারেনি ফ্লাইটরাডার। এর আগে শোনা যায়, বিমানটি কিছুদূর যাওয়ার পর গতিপথ পরিবর্তন করে ইউটার্ন নেয়। এমন অবস্থায় সিরিয়ার দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যদি ওই বিমানে আসাদ থেকে থাকেন, তাহলে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, তাকে বহনকারী বিমানটি ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইট থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিন্তু শতভাগ সত্য কোনো তথ্য মিলছে না। ইথারে অনেক খবর। গত এক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক উত্তাল অবস্থা মোকাবিলা করছিলেন বাশার আল আসাদ। জল্পনা আছে তিনি মস্কো বা তার প্রধান মিত্র ইরানের কাছে আশ্রয় চেয়ে থাকতে পারেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া থেকেও নিশ্চিত করা হয়নি তিনি কোথায় আছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, তাকে আশ্রয় দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাহলে কোথায় যেতে পারেন বাশার? তাকে বহনকারী বিমান যখন ইউটার্ন নিয়েছে এবং তা অদৃশ্য হয়েছে, এরপরই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
বাশার আল আসাদকে কী হত্যা করা হয়েছে?
Facebook Comments