বৃটিশ রাজনীতিতে নাইজেল ফারাজের উত্থান, কোণঠাসা লেবার-টোরি!

বৃটিশ রাজনীতিতে অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে। কনজারভেটিভ পার্টি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করেছে। এক যুগের বেশি সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে দলটির ইমেজ, যার প্রমাণ ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন। টোরিদের তরী ভড়াডুবিতে গেছে। এদিকে ইমিগ্র্যান্ট বান্ধব খ্যাত লেবার গত ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েই ২০২৪ সালে আকাশচুম্বী জয় পেয়ে সরকার গঠন করেছে। বছরের মাথায় নানানভাবে সমালোচিত হচ্ছে স্টারমারের সরকার। অভিবাসন নীতিতে কনজারভেটিভের কঠোরতার চাইতে আরো এক ডিগ্রি বেশি কঠোরতা দেখাচ্ছেন স্টারমার। লেবার দলীয় নেতা স্যার কিয়ের স্টারমার সম্প্রতি অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তবে তার এই কৌশল দলের অভ্যন্তরে সমালোচনার মুখে পড়েছে। অভিবাসীরা রীতিমতো মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন লেবার সরকার থেকে। 

এদিকে রিফর্ম পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি আকারে ছোট হলেও দলের প্রধান হিসেবে নাইজেল ফারাজ রাজনীতির মাঠ সবসময় গরম করে রাখেন। জনবান্ধব প্রতিটি জাতীয় ও স্থানীয় ইস্যুতে তিনি সরব হয়ে জনগণের পক্ষে স্ট্যান্ড করেন। দিন দিন ফারাজের জনপ্রিয়তা বাড়ছেই। তার উত্থানে বৃটিশ রাজনীতিতে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন নাইজেল ফারাজ। ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকেও কোণঠাসা করে দিচ্ছেন ফারাজ। 

তার নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে লেবার পার্টিকে হারিয়ে নতুন চমক দেখিয়েছে। বৃটেনে পার্লামেন্ট উপনির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচনে চমক দিল অতি দক্ষিণপন্থী নেতা নাইজেল ফারাজের দল রিফর্ম ইউকে। জোড়া ভোটের এই ফলাফলকে বৃটিশ রাজনীতিতে নতুন শক্তির উত্থান হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। মূলত এই জয়ের পর ফারাজকে ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে বৃটিশ রাজনীতির মঞ্চে। ফারাজের দলের জাতীয় পর্যায়ে সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, রিফর্ম  পার্টি বর্তমান ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি ও বিরোধী দলীয় কনজারভেটিভ পার্টি প্রায় সমান সমর্থন পাচ্ছে।

error: