দেশের তরুণ ও বাংলাদেশপন্থী রাজনৈতিক দল মৌলিক বাংলা পার্টি (এমবিপি) তাদের যুক্তরাজ্য শাখার প্রথম নির্বাহী কমিটি গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে । গত ২৩ মে শুক্রবার দুপুরে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব অফিসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয় । এই কমিটি বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পূর্ণ অনুমোদন ও সহায়তা নিয়ে গঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি নিজাম এম রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. সালেহ আকরাম মেরিন, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কাইয়ুম (বেলাল), সাংগঠনিক সম্পাদক আদ্রিকা অ্যানি, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াওর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফায়েজ আহমেদ সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মৌলিক বাংলা পার্টি ২০১১ সালে ‘টিপাই মুখ বাঁধ আন্দোলন’ থেকে আত্মপ্রকাশ করে । দলটি শুরু থেকেই রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের কল্যাণ এবং জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সংগ্রাম করে আসছে। ২০১৪ সালে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে সুন্দরবন বাঁচাতে ঢাকা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পায়ে হেঁটে লং মার্চের মতো গণআন্দোলনও পরিচালনা করেছিল । ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল এমবিপি নির্বাচন কমিশনে দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছে । ২৫ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিতে ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটি নেতারা রয়েছেন । তারা দেশের মানুষের কল্যাণ এবং জাতীয় উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন নিজাম এম রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সালেহ আকরাম মেরিন। এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন মো. আব্দুল কাইয়ুম (বেলাল), সাংগঠনিক সম্পাদক আদ্রিকা অ্যানি, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াওর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফায়েজ আহমেদ।
মৌলিক বাংলা পার্টির লক্ষ্য হচ্ছে ন্যায়বিচার, সমতা ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন এবং জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পাশাপাশি অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া।
এই কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আদর্শিক ও গণকেন্দ্রিক রাজনীতির চাহিদা ও সচেতনতা নতুন করে দৃশ্যমান হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।